তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দারা
ধৃতের নাম আসিয়া খান। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি আফগানিস্তানের নাগরিক। প্রাথমিক জেরায় পুলিশের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। শুধু দাবি করেছেন, ওই সেনা ক্যাম্পের এক আবাসিকের কাছে কিছু টাকা পাওনা রয়েছে এবং সেই টাকাই ফেরত নিতে এসেছিলেন। যদিও পুলিশের কাছে এই ব্যাখ্যা খুব একটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। কারণ জাতীয় নিরাপত্তার নিরিখে সেনা ছাউনির কাছাকাছি এই ধরনের কার্যকলাপ স্বাভাবিক নয়।
পহেলগাঁও কাণ্ডে হাফিজ সইদের নাম জড়াল! লাহৌরে নিরাপত্তা চাদরে মোড়া লশকর প্রধানের ঘর
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আসিয়া খান দীর্ঘদিন অসমে ছিলেন। তার কাছ থেকে অসমের কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়িতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তবে কেন তিনি সেনা ক্যাম্পের মতো স্পর্শকাতর এলাকার সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাও নড়েচড়ে বসেছে।
সিন্ধুর জল নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে, ‘ভারত বাঁধ বানালে ভেঙে দেব’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মাটিগাড়া সহ শিলিগুড়ি শহরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কারণ শিলিগুড়ি করিডর কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন। ফলে ধৃত আফগান যুবকের অতীত, তার যোগাযোগ এবং শিলিগুড়িতে তার উপস্থিতির আসল কারণ জানতেই এখন চলছে টানা জেরা।
এই ঘটনার পর সেনা ছাউনির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। প্রশাসনের শীর্ষ মহল জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।