ব্যুরো নিউজ ১ এপ্রিল : সোনা এবং রুপো—এই দুই মূল্যবান ধাতু শুধু অলংকার তৈরির জন্য নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুগ যুগ ধরে সোনাকে স্থিতিশীল বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়েছে, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রুপোর মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন অনেকেই দ্বিধায় থাকেন—কোনটিতে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব? বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যাক, সোনা না রুপো—কোনটি আপনার বিনিয়োগের জন্য সেরা হতে পারে।
নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদি লাভ
সোনা সবসময়ই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। মুদ্রাস্ফীতি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা কিংবা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সোনার মূল্য সাধারণত বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি প্রচুর পরিমাণে সোনা কিনেছে, যার ফলে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্স ৩৩০ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রতি ১০ গ্রাম প্রায় ৯০ হাজার টাকা ছুঁয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে সোনার মূল্য আরও বাড়তে পারে। তাই যদি ১০-১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে চান, তবে সোনা হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ বিকল্প। এছাড়া, এটি একটি স্থিতিশীল সম্পদ, যা ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য নিরাপদ।
Beauty tips: কোলাজেন বৃদ্ধি করতে এই পাঁচটি খাবার খান, কয়েকদিনেই ৪৫ এ দেখতে লাগবেন ২৫
বর্তমান চাহিদা ও দ্রুত লাভের সম্ভাবনা, বিগত কয়েক বছরে রুপোর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে শিল্পক্ষেত্রে। গ্রিন টেকনোলজি, সৌর শক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পে রুপোর ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে। এই চাহিদার কারণে বিশ্ববাজারে রুপোর মূল্যও বাড়ছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স রুপোর দাম ৩৩ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রতি কেজি ১ লক্ষ টাকার বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী পাঁচ বছরে রুপোর দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে যারা স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাদের জন্য রুপো একটি লাভজনক বিকল্প হতে পারে।
কোনটিতে বিনিয়োগ করবেন?
- যদি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে চান, তবে সোনা সেরা পছন্দ। এর বাজার স্থিতিশীল এবং দীর্ঘ সময় পর বড় মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- যদি স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ করতে চান, তবে রুপো লাভজনক হতে পারে। কারণ শিল্পখাতে চাহিদা বাড়ার ফলে রুপোর দাম দ্রুত বাড়তে পারে।
গরমের ছুটিতে কাশ্মীর ঘুরতে যাবেন ভাবছেন ! রইল ৭ দিনের ফাটাফাটি প্ল্যান
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কী করবেন ভাবছেন জনে নিন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজারের গতিবিধি, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা বিবেচনা করা জরুরি। বিনিয়োগের আগে সঠিক তথ্য জেনে এবং বাজার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিনিয়োগ করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
(বিনিয়োগের আগে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে আর্থিক পরামর্শদাতার সঙ্গে পরামর্শ করুন।)