ব্যুরো নিউজ, ২৫ ফেব্রুয়ারি:চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের কাছে হার এবং এর আগে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কর্তৃপক্ষের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য তারা কোচিং স্টাফকে দায়ী করছেন। পিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর জাতীয় দলের সমস্ত কোচ, যার মধ্যে অন্তর্বর্তী কোচ আকিব জাভেদও রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় পিসিবি একাধিক স্পনসর হারাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন শঙ্কা: রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে আতঙ্কের মুহূর্ত
নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমাদের দলের পারফরম্যান্স অত্যন্ত হতাশাজনক। এখনকার কোচিং স্টাফকে আর দায়িত্বে রাখা হবে না। লাল বল এবং সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ করা হবে কি না, তা এখনো ঠিক করা হয়নি।’’এছাড়া, পিসিবি কর্তারা বিদেশি কোচদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে নতুন কোচ বাছাই করা হতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে রিজওয়ান, বাবর আজমদের নেতৃত্বে আরও ভাল ফলাফলের আশা করা যায়।
এদিকে, বড় প্রতিযোগিতাগুলিতে টানা ব্যর্থতায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পিসিবি কর্তারা আশঙ্কা করছেন, এই পরাজয়ের প্রভাবে তারা স্পনসর হারাতে পারেন। পিসিবি এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘২৯ বছর পর আমরা একটি বড় মাপের প্রতিযোগিতার আয়োজক হলেও, প্রতিযোগিতা শুরুর কয়েক দিন পরেই আমরা প্রায় ছিটকে গিয়েছি। নকআউট পর্বে ওঠা তো দূরের কথা, টিকিট বিক্রির অবস্থা আশানুরূপ হতে পারে না।’’
রাচিন রবীন্দ্রের অনবদ্য শতরানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত সেমিফাইনালে
পাকিস্তানের বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ তাহির রেজা এই পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘যতবার একটি দল ব্যর্থ হয়, ততবার দর্শকদের আগ্রহ কমে যায়। এই কারণে, দলটির ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে যায় এবং এর প্রভাব সরাসরি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির ওপর পড়ে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানে ক্রিকেট বিক্রি করা আগের মতো সহজ নয়। যখন পারফরম্যান্স খারাপ হয়, তখন সমর্থক, স্পনসর, বিজ্ঞাপনদাতা এবং সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলির আগ্রহ কমে যায়।’’এখন, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্রতিযোগিতার খরচ তোলাও কঠিন হতে পারে পিসিবির জন্য। পাকিস্তান ক্রিকেটের এই দুর্দশা দলের ভবিষ্যৎ এবং পিসিবির অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।