ব্যুরো নিউজ,১ ফেব্রুয়ারি:২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়কর নিয়ে অনেক প্রতীক্ষার পর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। বাজেটের বিভিন্ন সেক্টরে নজর কেড়েছে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ এবং নতুন ঘোষণা। সাধারণ মানুষও খোঁজ রেখেছিল, কোন পণ্য সস্তা হলো এবং কোন পণ্য দামি হয়েছে। আসুন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২৫ সালের বাজেটে কী কী সস্তা হলো এবং কী কী দামি হল।
ইউনিয়ন বাজেট ২০২৫-২৬ঃ বাজেটে উড়ান প্রকল্পের সম্প্রসারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত
কী কী সস্তা হলো?
১. ওষুধের উপর শুল্ক ছাড়
ক্যানসার এবং বিরল রোগের মতো ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে পুরোপুরি শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, আরও ৩৭ ধরনের ওষুধের উপর শুল্ক ছাড়ের কথা বলা হয়েছে।
২. বিদ্যুৎ সম্পর্কিত পণ্য
এলইডি, জিঙ্ক, কোবাল্টের পণ্য, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি স্ক্র্যাপ এবং ১২টি বিশেষ খনিজের উপর শুল্ক ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ওপেন সেল সহ কিছু পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
৩. জাহাজ নির্মাণের কাঁচামাল
জাহাজ নির্মাণের কাঁচামালের উপর থেকে শুল্ক ১০ বছরের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
৪. ফ্রোজেন মাছের পেস্ট
ফ্রোজেন মাছের পেস্ট বা সুরিমি এবং এর অ্যানালগ পণ্যের উপর শুল্ক কমানো হয়েছে। শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
৫. ইভি ব্যাটারি এবং মোবাইল ফোন
ইভি ব্যাটারি তৈরির জন্য ৩৫টি নতুন পণ্য এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ২৮টি নতুন পণ্যকে ‘অব্যাহতিপ্রাপ্ত মূলধনী পণ্যের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৬. চামড়ার পণ্য
চামড়ার জ্যাকেট, পার্স, বেল্টের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ সেগুলির উপর শুল্ক ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
রেল ও বিমান সেক্টরের বড় ঘোষণা
২০২৫ সালের বাজেটে রেল ও বিমান সংক্রান্ত ক্ষেত্রেও কিছু বড় ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারামন। ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম ৫ম অর্থনীতির তালিকায় নিয়ে যেতে, রেল যোগাযোগ এবং উড়ান যোগাযোগের উন্নতি ঘটাতে সরকারের পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়েছে।
১. উড়ান স্কিম
সরকার ঘোষণা করেছে, অসামরিক বিমান পরিষেবার জন্য ১২০টি নতুন গন্তব্য যুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগ আগামী ১০ বছরে ৪ কোটি মানুষকে সুবিধা দেবে।
২. বিহারে নতুন বিমানবন্দর
বিহারে নতুন একটি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিমান পরিষেবা আরও উন্নত হবে।
৩. রেলের জন্য বাজেট বরাদ্দ
রেল যোগাযোগের উন্নতি জন্য ২০২৫-২৬ সালে ২.৫২ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।