ব্যুরো নিউজ,১ ফেব্রুয়ারি:২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। বাজেটের সময়ে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (MSME) ক্ষেত্রের জন্য ঋণ গ্রহণ আরও সহজ করা হবে এবং এই ক্ষেত্রের জন্য কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে। MSME সংস্থাগুলির জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি কভারও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হবে। এর পাশাপাশি, নতুন উদ্যোগগুলির জন্য ‘স্টার্টআপ তহবিলে’ আরও অর্থ যোগ করা হবে। এই তহবিলের মধ্যে সরকারের আগে ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, এবং এবার আরও ১০ হাজার কোটি টাকা যুক্ত হবে।
ইউনিয়ন বাজেট ২০২৫-২৬ঃবিহারে বিশেষ মনোযোগ ২০২৫ সালের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকারের নতুন পদক্ষেপ
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কি জানান?
নির্মলা সীতারামন জানান, ৫ লক্ষ মহিলা, তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতির মধ্যে যাঁরা প্রথমবার উদ্যোক্তা হচ্ছেন, তাঁদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে।বাজেট বক্তৃতার সময়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানান, ভারত বর্তমানে বিশ্বে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি। গত ১০ বছরে আমাদের দেশের উন্নয়ন ও কাঠামোগত সংস্কার বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে MSME সংস্থাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বর্তমানে দেশে এক কোটিরও বেশি নিবন্ধিত MSME রয়েছে, যা ভারতের মোট উৎপাদনের ৩৭ শতাংশে অবদান রাখে এবং দেশের রপ্তানির ৪৫ শতাংশের জন্য দায়ী।MSME ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য সরকারের তরফ থেকে বিনিয়োগ ও টার্নওভারের সীমা যথাক্রমে আড়াই গুণ এবং দুই গুণ বাড়ানো হবে, যা এই ক্ষেত্রের প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সহায়ক হবে। এছাড়া, নতুন প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যুবকদের জন্য আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।এছাড়া, কৃষকদের উন্নতির জন্যও বাজেটে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, কৃষকদের জন্য কিসান ক্রেডিট কার্ডের ঋণ সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
ইউনিয়ন বাজেট ২০২৫-২৬ঃ খেলনা ও চামড়া শিল্পে বড় ঘোষণা
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৭.৭ কোটি কৃষক ও মৎসজীবী উপকৃত হবে।এর পাশাপাশি, বিহারে একটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, বিহারে মাখানা চাষীদের জন্য একটি মাখানা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হবে, যা তাদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করবে।