পূর্ব বর্ধমানে 'উন্নয়ন ফি' নিয়ে বিতর্ক

ব্যুরো নিউজ,১৫ জানুয়ারি:পূর্ব বর্ধমানের মেমারি এক নম্বর ব্লকের বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ‘উন্নয়ন ফি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধীনে সরকারি অনুদান পাওয়ার পর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত এই ফি দাবি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সদস্যরা এটি ‘উন্নয়ন ফি’ হিসেবে দাবি করেছেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, এবং ব্লক ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

প্যারিস অলিম্পিক্সের ত্রুটিপূর্ণ মেডেল, বদলাচ্ছে IOC, আসছে নতুন মেডেল

পঞ্চায়েতের কোনও হস্তক্ষেপের অনুমতি নেই


পূর্ব বর্ধমানের মেমারি এক নম্বর ব্লকে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, এবং এসব পঞ্চায়েতগুলির সবগুলোই তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে মেমারি এক নম্বর ব্লকের প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ সরকারি অনুদান পেয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, এমন সময়েই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ‘উন্নয়ন ফি’ হিসেবে টাকা দাবি করছে।দলুইবাজার দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য রাজীব মালিক জানিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য শংসাপত্র নিতে ১০০০ টাকা করে পঞ্চায়েতকে দিতে হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মেমারি এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি ব্লক অফিসে জানিয়েছেন। অভিযোগ করা হচ্ছে, শুধু দলুইবাজার দু’নম্বর পঞ্চায়েতই নয়, ব্লকের আরও কয়েকটি পঞ্চায়েতও একইভাবে টাকা নিচ্ছে।এ বিষয়ে মেমারি এক নম্বর ব্লকের বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েষা রানি। মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যও জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পঞ্চায়েতের কোনও হস্তক্ষেপের অনুমতি নেই এবং এই ধরনের টাকা তোলা ঠিক নয়।

গরম জল খেলে শরীরের উপকারিতা কি কি জানেন? কীভাবে খাওয়া উচিত জেনে নিন

তবে, এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বিজেপি নেতৃত্বও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা আজ সম্পূর্ণ অমান্য করা হচ্ছে।’ তবে, এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না প্রকল্পের উপভোক্তারা। তাঁদের ভয়, যদি তারা অভিযোগ করেন, তাহলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে যেতে পারে।উল্লেখ্য, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের সরাসরি সাহায্য করার জন্য নবান্নের পক্ষ থেকে ব্লকের বিডিওদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন নির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে কোনভাবেই মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্য না ঘটে এবং প্রকল্পের উপকরণ সঠিক দামে এবং গুণগত মানে সরবরাহ করা হয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর