ব্যুরো নিউজ,২ জানুয়ারি:নতুন বছরের প্রথম দিনেই মোদী সরকার কৃষকদের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা কৃষকদের আন্দোলনের ফলে এই সিদ্ধান্তগুলো এসেছে, যা চাষিদের কল্যাণে সরকারের দায়বদ্ধতার বার্তা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৫-২৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম বাড়ার আশঙ্কা কাটাতে ৩৮৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে, যাতে সারের প্রতি ৫০ কেজির ব্যাগ আগের মতো ১৩৫০ টাকাতেই পাওয়া যায়।
নিউ অরলিন্সে ভয়াবহ দুষ্কৃতী হামলায় মৃতের সংখ্যা ১৫, আইএসের যোগসূত্রের সম্ভাবনা
চাষিরা সরকারের প্রকল্পে কতটা সন্তুষ্ট?
এই সিদ্ধান্তের পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন যে তাঁর সরকার চাষিদের কল্যাণের জন্য দায়বদ্ধ। তবে, প্রশ্ন উঠেছে যে, যদি সরকার কৃষকদের স্বার্থে এসব উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে, তাহলে কেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকেরা এখনও ফসলের ন্যূনতম দামের দাবিতে আন্দোলন করছেন? এই পরিস্থিতিতে কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল আমরণ অনশনে বসেছেন এবং ৪ জানুয়ারি পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় কিসান মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছেন।কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বিষয়টি সমাধান করা হবে। অন্যদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় প্রমাণ করেছে যে চাষিরা সরকারের প্রকল্পে কতটা সন্তুষ্ট।
রোহিত শর্মার সিডনি টেস্ট নিয়ে গম্ভীরের মন্তব্যে নতুন জল্পনা
এছাড়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ফসল বিমা যোজনার জন্য ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে, কৃষকরা দ্রুত ক্ষতিপূরণ পাবেন এবং এই ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প চলবে, এবং সারের দাম বাড়ানোর পরিবর্তে অতিরিক্ত ভর্তুকির ফলে ডিএপি সারের ব্যাগ আগের দামে পাওয়া যাবে।