ব্যুরো নিউজ,১ জানুয়ারি:দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, বিমানে থাকা দুই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে তাঁরা বেঁচে গেলেন? রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, দু’জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টই বিমানের পেছনের অংশে, অর্থাৎ ‘রিয়ার টেল’ সেকশনে ছিলেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিমানের পিছনের অংশ সাধারণত বেশি নিরাপদ।এক ম্যাগাজিনে ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ‘রিয়ার সিট’ বা পিছনের সিটই বিমানে সবচেয়ে নিরাপদ সিট, কারণ ওই অংশে মৃত্যুর হার কম থাকে। সেই তুলনায় সামনে বা মধ্যভাগের সিটগুলির মৃত্যুহার অনেকটা বেশি।
আইআইটি মাদ্রাজের বিজ্ঞানীরা তৈরি করলেন মস্তিষ্কের এক অনন্য ৩ডি ম্যাপ
কারা বাঁচলেন?
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দুই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হলেন ৩২ বছরের লি এবং ২৫ বছরের নোন। দুর্ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করা হয় বিমানের পেছনের অংশ থেকে। তবে দুর্ঘটনার পর প্রথমে তারা কিছুই মনে করতে পারছিলেন না। লির বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছিল, তবে তার চেতনা ফিরে আসার পর তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ‘কী ঘটেছে? কেন আমি এখানে?’ অন্যদিকে, নোনের মাথায় এবং পেটে আঘাত লেগেছিল, তবে তারও স্মৃতিশক্তি ফিরে আসতে কিছুটা সময় লেগেছিল। যদিও তাদের দুজনের শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে, তবে তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
কলকাতায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত, বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমলো
এই দুর্ঘটনায় একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান জেজু এয়ারের ছিল, যা ব্যাংকক থেকে মুয়ানের উদ্দেশ্যে উড়ছিল। বিমানটি সকাল ৯টার পরে অবতরণের চেষ্টা করেছিল, তবে অবতরণের সময় একটি বেড়ার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং ভেঙে পড়ে।