ব্যুরো নিউজ,৩০ ডিসেম্বর:শীতকালে বাগানে গাঁদা ফুলের ঝুড়ি থাকলে সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। কিন্তু গাঁদা ফুল ফোটানোর জন্য শুধুমাত্র গাছের পরিচর্যাই যথেষ্ট নয়, কিছু সঠিক পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। গাঁদা গাছের ফুল বড় হবে কিনা, তা অনেকটাই নির্ভর করে গাছের মান এবং পরিচর্যার উপর। আসুন জানি, কীভাবে গাঁদা ফুলের গাছ সঠিকভাবে ফোটানো যায় এবং তাদের সুন্দর ও প্রাণবন্ত রাখতে কিছু সহজ টিপস।
২০২৫ সালে শনির ট্রানজিটঃ এই ৩ রাশির জন্য বিশেষ শুভ সংবাদ
কি কি করবেন?
সঠিক গাছ নির্বাচন করুন: গাঁদা ফুলের গাছ কিনতে হলে ভালো মানের গাছ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেনা নার্সারি থেকে গাছ কিনুন অথবা অভিজ্ঞ বাগান প্রেমীর সাহায্য নিন। ভুল গাছ নির্বাচন করলে যতই যত্ন নিন, ফুল বড় হবে না।
মাটি তৈরির পদ্ধতি: গাঁদা গাছের জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরির ক্ষেত্রে দোআঁশ মাটি এবং গোবর মাটি খুবই আদর্শ। মাটির সঙ্গে জৈব সার এবং কম্পোস্ট মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। মাটি সবসময় ঝরঝরে রাখতে হবে যাতে জল জমে না থাকে।
টপ সিলেকশন ও ড্রেনেজ: গাঁদা গাছের জন্য মাঝারি আকারের টব নির্বাচন করুন, তবে নিচে ড্রেনেজ বা গর্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে অতিরিক্ত জল জমে না থাকে। গাছের শিকড় যাতে ঠিকমত শ্বাস নিতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ভিটামিন ডি-র খাজানা এই ফল, আপনার হাড় থাকবে মজবুত আজীবন
পর্যাপ্ত জল দেওয়া: গাঁদা গাছের জন্য নিয়মিত জল প্রয়োজন, তবে সেটা যেন পরিমিত হয়। মাটি শুকিয়ে গেলে জল দিন, কিন্তু মাটির নিচে জল জমে থাকলে দেওয়া যাবে না।
সার দেওয়ার নিয়ম: প্রতি ১৫ দিনে একবার তরল সার দিতে হবে, যেমন খোল সার। এর ফলে গাছ ফুলে ভরে যাবে এবং সুন্দর হবে।
সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা: গাঁদা গাছের জন্য সরাসরি সূর্যের আলো জরুরি। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সূর্যের আলো পেলে গাছ বেশি ফুল দেয়। গাছের জন্য উষ্ণ তাপমাত্রাও প্রয়োজন।
কড়াইশুঁটি দিয়ে তৈরি কিছু দারুণ রেসিপি রইল আপনাদের জন্য
পরিচর্যা ও কীটনাশক প্রয়োগ: গাছের শুকনো পাতা বা মরা ডালপালা কেটে দিন। যদি পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়, তবে নিম তেল বা পরিবেশবান্ধব কীটনাশক ব্যবহার করুন। ফুল পুরোনো হয়ে গেলে তা তুলে ফেলুন যাতে গাছ নতুন ফুল উৎপন্ন করতে পারে।
এভাবেই, সঠিক পরিচর্যা ও কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতকালে আপনার গাঁদা ফুলের বাগান হবে ঝকঝকে এবং প্রাণবন্ত।