ব্যুরো নিউজ ,২৫ ডিসেম্বর:আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যায়, কিন্তু আদা দিয়ে তৈরি ‘জিঞ্জার এসেনশিয়াল অয়েল’-এর কার্যকারিতা অনেকের কাছে আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে। আপনি হয়তো ঘরোয়া টোটকাও ব্যাবহার করেছেন, কিন্তু চুল পড়া কমে না। এই পরিস্থিতিতে আদা তেল কীভাবে চুলের জন্য উপকারি হতে পারে, তা জানতে হলে আরও কিছু গবেষণার দিকে তাকানো প্রয়োজন।গবেষণা থেকে জানা যায়, ‘জিঞ্জার এসেনশিয়াল অয়েল’ চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। তবে, রান্নায় ব্যবহার করা আদা কি সত্যিই চুলের জন্য উপকারী? উত্তর হল—হ্যাঁ। চুলের সমস্যায় আদার তেল বেশ কার্যকরী।
চুল পড়া রোধে কার্যকর ৫টি ঘরোয়া টোটকা জেনে নিন
কিভাবে?
১) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি:
একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আদার তেল মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে চুলের ফলিকলে অক্সিজেন পৌঁছায়, যা নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এর ফলে চুল বৃদ্ধি পায়।
২) প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে:
চুল গজানোর ক্ষেত্রে প্রদাহ প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আদার তেল মাথার ত্বকে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যদি মাথার ত্বক শুষ্ক হয় বা খুশকি থাকে, তাতে আদার তেল খুবই উপকারী।
শীতে চুল পড়া বন্ধ করতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি
৩) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে কমায়। এই তথ্যটি ‘অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে এবং অকালপক্বতা রোধে কার্যকর।
চুল পড়া, খুশকি এবং রুক্ষতার সমস্যায় ভুগছেন ?পেঁয়াজের তেল বানিয়ে চুলের যত্ন নিন, দূর হবে সব সমস্যা
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে মাথায় আদার তেল ব্যবহার করবেন? খুব সহজ! একটি ছোট পাত্রে অলিভ অয়েল গরম করে তাতে কয়েক ফোঁটা ‘জিঞ্জার এসেনশিয়াল অয়েল’ মিশিয়ে নিন। এই তেল মাথার ত্বকে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন, তারপর শ্যাম্পু করে নিন। যদি ‘জিঞ্জার এসেনশিয়াল অয়েল’ না থাকে, তাহলে নারকেল তেলের মধ্যে আদার টুকরো দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মাথার ত্বক সতেজ হবে এবং চুল পড়া কমাবে।এভাবে সহজ উপায়ে আপনি চুলের সমস্যা সমাধান করতে পারেন এবং চুলের গুণগত মান বাড়াতে সহায়তা পাবেন।