আর জি কর ফিঙ্গারপ্রিন্ট

ব্যুরো নিউজ, ৯ নভেম্ববর :কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় নতুন সূত্র দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শনিবার আর জি কর ঘটনার তিন মাস পূর্ণ হল। আর ঠিক সেই সময় সিবিআই গোয়েন্দারা জেনেছেন যে ৯ই আগস্ট ওই হাসপাতালে সেমিনাল রুমে খুন হয়ে যাওয়া মহিলার মোবাইল ল্যাপটপ ও অন্যান্য সামগ্রী থেকে কোন ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া যায়নি। সেগুলি অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক মুছে দেওয়া হয়। সিবিআই ওই সামগ্রিক বাজেয়াপ্ত করেও তেমন কোন সূত্রের হদিস পাইনি। এমনকি ধৃত সঞ্জয় রায়ের হাতের ছাপ ও সেগুলিতে নেই। সিবিআই এর ধারণা এ ধরনের কাজের পেছনে রয়েছে কোন অভিজ্ঞ মানুষের সহায়তা ও পরামর্শ।

কোয়েট্টায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হত ২০ আহত ৩০ 

ফরেনসিকও মেলেনি, দোষীদের ফিঙ্গারপ্রিন্টের ছাপ

কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু, রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩

তদন্তের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর নেপথ্যে কলকাতা পুলিশের এক ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞের ভূমিকা রয়েছে বলেও তাদের অনুমান। কিন্তু প্রশ্ন হল এই নির্দেশ ওপর তলা থেকে কে দিয়েছিলেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞকে। অত্যন্ত কৌশলে সুচিন্তিতভাবে ওই ফিঙ্গারপ্রিন্ট মুছে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার স্থল থেকেই যে সমস্ত ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেখান থেকে কোন সূত্র পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরদিন সকালে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের এক কনস্টেবল দুপুর একটাই হাজির হয় ও তার কাজ সেরে পরে চলে যায়। সেখান থেকেই আধিকারিকরা ধারণা করছেন ওই ফিঙ্গারপ্রিন্ট মুছে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাত করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের কয়েকজনকে। তাদের বয়াম রেকর্ড করা হয়েছে সেখান থেকেই ওই কীর্তিমান কনস্টেবল এর কথা জানা যায়। খুন হয়ে যাওয়া মহিলা চিকিৎসকের মোবাইল ল্যাপটপ ব্লুটুথ ও অন্যান্য জিনিস বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সি ল্যাবে পাঠানো হলেও সেখানে কোন হাতের ছাপ পাওয়া যায়নি। এখানেই সিবিআই এর ধারণা তথ্য প্রমান বুঝে শুনেই লোপাট করা হয়েছে। প্রমাণ লোপাটে অভিযোগে ও বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তালা থানার অতিথি অভিজিৎ মন্ডলকে। সঞ্জয় রায় ইতিমধ্যে কোর্টে হাজিরা দিয়ে চিৎকার করে বলেন তিনি নির্দোষ তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। কিন্তু কেন সে ধরা পরার পর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালে সিবিআই কর্তাদের এসব কথা বলেননি, তার বিষয়ে মুখ খোলেনি সঞ্জয়। আবার তিনি কিছু বলতে চান বলেও আদালতে চেঁচামেচি করলেও সে বিষয়ে কর্ণপাত করেননি বিচারক। সেটি সম্ভবত ট্রায়াল কোর্টের হতে পারে। সেখানে সঞ্জয় তার আইনজীবীর মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করতে পারবেন। তবে কেন এখনো সমস্ত কথা বলছে না সঞ্জয় তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় আছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর