ব্যুরো নিউজ, ২৯ অক্টোবর :কালীপুজোর আর মাত্র দু’দিন বাকি। বাংলাজুড়ে ধীরে ধীরে পুজোর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে শব্দবাজি নিয়ে বিতর্কও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীপুজোর উদ্বোধন করছেন এবং শব্দবাজির ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে এ বছরের জন্য শব্দসীমা বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হলেও, পরিবেশকর্মীরা মনে করছেন এটি যথেষ্ট নয়। এই সীমার মধ্যে অনেক বাজিই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় রহস্যময় মৃত্যুঃ ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল আধিকারিকের দেহ
বাড়তি পুলিশ পিকেট বসাল প্রশাসন
নিষিদ্ধ শব্দবাজির অবাধ বিক্রির অভিযোগ উঠছে বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা নুঙ্গি ও চম্পাহাটির হারাল এলাকায়। সেই অঞ্চল থেকে নিষিদ্ধ বাজি সরবরাহ হচ্ছে কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে। গত এক সপ্তাহে পুলিশ ১৭১৪ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। আটক করেছে ১৭ জনকে। পরিবেশবিদরা বলছেন, কেবল পুজোর এক সপ্তাহ আগে নজরদারি চালালে নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটকানো সম্ভব নয় কারণ অগস্ট থেকেই এই নিষিদ্ধ সামগ্রী শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে।
কেরলের মন্দিরে উৎসব চলাকালিন আতশবাজি বিস্ফোরণ, ১৫০ আহত
এদিকে যেমন কলকাতা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢোকা ঠেকাতে পুলিশ ১৮টি জায়গায় পিকেট বসিয়েছে। রাতের বেলা আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে কারণ ওই সময় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢোকার আশঙ্কা বেশি। প্রতিটি পিকেটে একজন অফিসারের নেতৃত্বে তিনজন পুলিশকর্মী থাকছেন যারা দুই শিফটে কাজ করছেন। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি এই কঠোর পদক্ষেপ পুজোর আনন্দকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।