ব্যুরো নিউজ ১০ অক্টোবর : স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের তালিকার সঙ্গে স্কুলগুলোর ফাঁকা সিটের মধ্যে ব্যাপক অমিল দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন জেলার স্কুলে শূন্যপদের তালিকা পরিবর্তিত হয়েছে, ফলে বিকাশ ভবন ও এসএসসি অফিসের আধিকারিকদের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
জায়গার নাম ইমামবাড়া হলেও এখানে দুর্গাপুজো হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে হয়
শুন্যপদ নিয়ে কি জানাছেন সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা
বিশ্বনাথ, একজন প্রধান শিক্ষক, জানিয়েছেন যে তাদের স্কুলে যেসব বিষয়ে শূন্যপদের উল্লেখ আছে, সেগুলির জন্য উভয় লিঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু খুজুটিপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল আসলে একটি গার্লস স্কুল, ফলে সেখানে পুরুষ শিক্ষকরা কীভাবে পড়াবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।মুর্শিদাবাদের আরেকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, “আমাদের বিজ্ঞানের পোস্টটি জেনারেল ক্যাটেগরির ছিল, কিন্তু এবারে এসএসসি-র তালিকায় তা ওবিসি ক্যাটেগরিতে দেখানো হয়েছে!” বীরভূমের লক্ষ্মীনারায়ণপুর কমলাময়ী হাইস্কুলে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ফিজ়িক্যাল এডুকেশন ও বায়ো-সায়েন্সে দুটি শূন্যপদ রয়েছে, কিন্তু এসএসসি-র তালিকায় এই সংখ্যাটি ৬ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা নিয়ে সন্দেহ উঠেছে।শূন্যপদে এই গরমিলের কথা জানিয়ে কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দিনেই বিকাশ ভবনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। স্কুলশিক্ষা কমিশনারেটের কর্মকর্তারা শূন্যপদ নিয়ে গোলমালের কথা স্বীকার করেছেন। বিকাশ ভবন থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা আচার্য সদনে আলোচনাও করেছেন, কিন্তু তাদের দাবি, গোলমাল তাঁদের পক্ষ থেকে হয়নি।একজন কর্মকর্তা বলেন, “গোলমালটা বেশি হয়েছে বাংলা মাধ্যমে। সেখানে কাউন্সেলিং নভেম্বরে শুরু হবে। এখন তো পুজোর ছুটি। ২১ অক্টোবর সরকারি অফিস খুললে সমস্যার সমাধান হবে।”
সংঘর্ষের নতুন অধ্যায় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
এসএসসি সূত্রে জানা গেছে, অনেক স্কুলে শূন্যপদের সংখ্যা কম দেখানো হয়েছে, ফলে শিক্ষক সঙ্কট চলছেই। একটি শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মনোজ মণ্ডল বলেন, “স্কুলশিক্ষা দপ্তর বারবার বিষয়ের ভিত্তিতে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করলেও আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিংয়ের আগে অনেক স্কুলের নাম বাদ পড়েছে।”