ব্যুরো নিউজ ৩০ সেপ্টেম্বর: সমাজমাধ্যমে জ়েভিয়ারের জনপ্রিয়তা অস্বীকার করার মতো নয়। ফেসবুক, এক্স এবং ইনস্টাগ্রামে তাঁর মুখ প্রায়ই বিভিন্ন মিমের মাধ্যমে হাজির হয়। তবে, তাঁর আসল পরিচয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও কৌতূহল রয়েছে। জ়েভিয়ার নামটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পরিচিত, কিন্তু তাঁর আসল নাম হল পাকালু পপিতো।
মানুষের সৃষ্ট সবথেকে দামি জিনিসটি কোথায় তা রয়েছে জানেন?
কে এই জেভিয়ার জেনেনিন
পাকালু ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং বর্তমানে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে বসবাস করছেন। সেখানে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে পাকালু প্রথমবারের মতো টুইটারে (বর্তমানে এক্স) অ্যাকাউন্ট খুলেন। সেখানে তিনি একের পর এক মজার টুইট পোস্ট করতে শুরু করেন, যা দ্রুত ভাইরাল হতে থাকে।পাকালুর বন্ধুদের চ্যালেঞ্জে জেতার জন্য টুইটারে যোগদান করেছিলেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছিল, যদি পাকালুর ফলোয়ার সংখ্যা পাঁচ হাজার হয়, তাহলে তাঁকে ১০ হাজার ডলার দেওয়া হবে। ২০১৫ সালে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৮ লক্ষে পৌঁছায়, আর ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। এভাবেই পাকালু বন্ধুরা ধরে জেতা বাজির টাকায় একটি গ্যাস স্টেশন কিনে ফেলেন।কিন্তু কোনও কারণে তার এই দুটি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়। তাতে তাঁর পোস্টগুলির স্ক্রিনশটগুলো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতে শুরু করে। এরপর পাকালু নতুন কোনও অ্যাকাউন্ট না খুললেও, অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হয় তাঁর নামে। সেই ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে একটি ছিল জ়েভিয়ার নামের। সেই থেকেই পাকালু জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন।২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি আবার একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেন, যেখানে মিম পোস্ট করতে শুরু করেন। পেজটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বর্তমানে এর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় আট লক্ষ।
আকাশে ভয়ের ছায়া দুই বিমানের সংকটজনক পরিস্থিতি
জ়েভিয়ারের এই রসবোধ কোথা থেকে আসে? তিনি একবার বলেছিলেন, “সমস্ত কৃতিত্ব আমার। আমার রসবোধ স্বাভাবিক ভাবেই আসে। আমার বাবাও মজার মানুষ ছিলেন।” পাকালু ভবিষ্যতে তার মজার লেখা বই আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছেন। তবে, কিছু সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মতে, জ়েভিয়ারের ছবি ব্যবহার করা হয় কানপুর আইআইটির এক কর্মী, যার নাম ওমপ্রকাশ। যদিও এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।