ব্যুরো নিউজ ২৬ সেপ্টেম্বর : লকডাউন, মৃত্যু, এবং ঘরবন্দি অবস্থার কারণে অনেক মানুষ এখনও উদ্বিগ্ন। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই কঠিন সময় পার করছে, কিন্তু এর প্রভাব সমাজে সুস্পষ্ট। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লকডাউনের পর প্রতিটি তিনজন শিশুর মধ্যে একজনের দৃষ্টিশক্তি কমছে।
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন শিক্ষাবিদ হরিণী অমরসূর্য
কোন কোন দেশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরেছে
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের পরিস্থিতি শিশুরা এর শিকার। ৫০টি দেশের কয়েক কোটি শিশু-কিশোরের পরীক্ষা এবং তাদের বাস্তব পর্যালোচনা করে জার্নাল অফ অপথালমোলজিতে প্রকাশিত তথ্যগুলি উদ্বেগজনক। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ লক্ষ শিশু এই সমস্যায় আক্রান্ত হবে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মায়োপিয়ার (দৃষ্টিশক্তি দুর্বলতা) হার বিশ্বে তিন গুণ বেড়েছে।তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র লকডাউনই দায়ী? অনেকেই লকডাউনের কারণে দীর্ঘকাল গৃহবন্দি ছিলেন। সারা দিনের অধিকাংশ সময় ফোনে কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রীনে কাটানো হয়েছিল। খেলাধুলার জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম ছিল, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।গবেষণায় দেখা গেছে, এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে এশিয়ার দেশে। যেমন, জাপানে ৮৫ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭৩ শতাংশ শিশুর দৃষ্টিশক্তি কমছে। চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে এই হার ৪০ শতাংশ।
কলকাতার আকাশে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ১৭ বছরের কিশোরীর মৃত্যু
এটি একটি গুরুতর বিষয়, এবং অভিভাবকদের উচিত শিশুদের জন্য সঠিক সময়ে স্ক্রীন থেকে বিরতি দেওয়া এবং বাইরে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। স্বাস্থ্য সংস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিরও উচিত এই সমস্যার গুরুত্ব উপলব্ধি করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।