ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘরে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেও জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক সফল করতে পারেননি। বৈঠক না হওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসে জানিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত, তবে কিছু মানুষের বিচার নয়, ক্ষমতার চেয়ার চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন।
দুর্নীতির নতুন দিক: সন্দীপ ঘোষের শ্যালিকার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হলো হাজারো উত্তরপত্র!
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা
গত মঙ্গলবার থেকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বার তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার চেষ্টা করেছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের মতো বৈঠক ব্যর্থ হয়। চিকিৎসকদের দুটি প্রধান দাবি ছিল—বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার এবং ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনা। রাজ্য সরকার এই শর্তে সম্মতি না দেওয়ায় বৈঠক ভেস্তে যায়।
চায়ের পাতা, রান্নার গোপন রহস্য!যা জানলে আপনি অবাক হবেন
নবান্ন থেকে মমতা বলেছেন, ‘‘তিন দিন চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারলাম না। আমি বাংলার মানুষকে ক্ষমা চাইছি। যারা নবান্নের সামনে এসে বৈঠকে অংশ নেননি, তাদের আমি ক্ষমা করেছি। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে এবং আমার সরকারেরও অসম্মান হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি ও কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ বিষয়টি ঠিকমতো বুঝতে পারছেন না। আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত, কিন্তু তারা বিচার চান না, ক্ষমতার চেয়ার চান। আমি আশা করি মানুষ বিষয়টি বুঝবেন।’’বৈঠক ব্যর্থ হওয়ায় জুনিয়র চিকিৎসকেরা নবান্নের সামনে অবস্থান করে আছেন। মমতা জানান, অনেকেই বৈঠকে আগ্রহী ছিলেন, তবে বাইরের নির্দেশনায় তারা পিছিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘অনেকে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাইরে থেকে সমঝোতা না করার নির্দেশ ছিল। দু’-তিন জন রাজি হননি। আমি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি এবং ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করছি।’’
মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেছেন, জানিয়ে দেন যে সময় পার হয়ে গেছে এবং আদালত রাজ্যের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বাধা দেবে না। তবে তিনি নিজে কিছু করবেন না, উল্লেখ করে বলেছেন যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সাত লাখ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তিনি নিজের হৃদয় কাঁপছে বলেও জানান এবং চিকিৎসকদের ক্ষমা করে দেন।মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘নবান্নের সভাঘরের ছবি প্রকাশ করে সরকার আদালতকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে। বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির কোনও সম্পর্ক নেই। আলোচনার সঙ্গে আদালত অবমাননার কিছুই নেই। এটি মমতার নাটক, যাতে তার মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তিনি অচলাবস্থা কাটাতে চান না।’’