ব্যুরো নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর :বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভকারী পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি অবশেষে মেনে নেওয়া হলো। দীর্ঘসময় ধরে অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর, বুধবার কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিগুলির মধ্যে প্রথমেই উল্লেখযোগ্য হলো, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের সচিবকে জানানো হয়েছে যে, তাপস ঘোষ ব্যক্তিগত কারণে ডিনের পদ থেকে পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এটাই ছিল আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি। আরেকটি নির্দেশে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ অনুসারে, চিকিৎসক নূপুর ঘোষকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নতুন করে যোগ দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, নূপুর ঘোষ হচ্ছেন বিতর্কিত চিকিৎসক অভীক দে’র স্ত্রী। গত বছর তাঁর বদলির নির্দেশ এসেছিল, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।
আরজি কর কাণ্ডঃবিচারের দাবিতে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিঠুন চক্রবর্তীর
‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি প্রবর্তন
একটি নতুন নির্দেশে, কলেজ ক্যাম্পাস ও হস্টেলে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে কয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়া, ইন্টার্ন, জুনিয়র এবং সিনিয়র রেসিডেন্টদের জন্য। এই নির্দেশের আওতায় ন’জন ছাত্রছাত্রী, পাঁচজন ইন্টার্ন, দুজন জুনিয়র রেসিডেন্ট এবং দুজন সিনিয়র রেসিডেন্টকে রাখা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে, তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাঁরা তদন্ত কমিটির ডাকে ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন।বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, তাপস ঘোষের পদত্যাগের বিষয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের সচিবকে ই-মেল মারফত জানানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা অভিযোগ তুলেছিল যে, পরীক্ষায় নম্বর দুর্নীতি এবং থ্রেট কালচার নিয়ে সহ-অধ্যক্ষ তাপস ঘোষ জড়িত। তাঁরা ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি প্রবর্তন এবং তাপস ঘোষের অবিলম্বে অপসারণের দাবি তুলেছিলেন।
পুজোর জন্য চুলের রঙ দীর্ঘস্থায়ী করতে মানতে হবে এই নিয়মগুলো
বুধবার সকালে জুনিয়র ডাক্তার এবং মেডিক্যাল পড়ুয়াদের একাংশ অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখলে, তাদের দাবিগুলি মেনে নেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে গৌরাঙ্গ প্রামাণিক জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর দাবিও ওঠে এবং অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এই বিষয়টি পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে।অধ্যক্ষ মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাপস ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কাজের স্বার্থে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। বদলি নিয়ে মৌসুমি বলেন, ‘আগে থেকেই নির্দেশ ছিল, তবে চিকিৎসকের অভাবের কারণে তা কার্যকর হয়নি।’ ভবিষ্যতে চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়বে কিনা, তা সময়ই বলবে।