image

ব্যুরো নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর :বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যব্যাপী ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট। ‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকা এই ধর্মঘট শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। ধর্মঘটের মূল দাবি হল নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়তি পণ্য পরিবহণ বন্ধ করা সহ সাত দফা দাবি। পুজোর মুখে এমন একটি ধর্মঘটের কারণে কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে পাইকারি বাজারে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডালের সঙ্গে লেবুর রস: স্বাদ বাড়ায় নাকি শরীরের জন্য উপকারী?

পাইকারি বাজারে জোগানের ঘাটতি

এই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়ে রয়েছে ভিন্ রাজ্যের বিভিন্ন ট্রাকমালিক সংগঠন। সর্বভারতীয় সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস’ও নৈতিকভাবে রাজ্যের সংগঠনের ধর্মঘট এবং ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি সমর্থন করেছে। তারা অন্যান্য রাজ্যের সংগঠনগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, ধর্মঘট চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গে ট্রাক না পাঠানোর জন্য। অন্ধ্রপ্রদেশের দুটি সংগঠনও পশ্চিমবঙ্গের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়ে ট্রাক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে সজল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক।

সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের দুর্গাপুজো: প্রতিবাদ ও ঐতিহ্যের এক মিশ্রণ

এই ধর্মঘটের ফলে রাজ্যে মাছ, ডিম, বিভিন্ন কাঁচা আনাজ এবং ফলের পাইকারি বাজারে জোগানের ঘাটতি হতে পারে। পাশাপাশি, নির্মাণ সামগ্রীর জোগানেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কারণ, ধর্মঘট চলাকালীন ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকলে, বাজারে এই সব পণ্যের সরবরাহে সমস্যা হতে পারে।ট্রাকমালিক সংগঠনের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে রাস্তায় পুলিশের নির্যাতন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের অত্যাচার, রাজ্যের বালি খাদানগুলিতে ভূমি রাজস্ব আধিকারিকদের দ্বারা হয়রানি, এবং একাধিক ভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এসব সমস্যার সমাধানের জন্যই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

পরিবহণ দফতরের সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যদি ধর্মঘটকারীরা রাস্তায় নেমে আসে বা ট্রাক আটকানোর চেষ্টা করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।পুজোর সময় বাজারে ঘাটতি সৃষ্টি হলে, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা প্রভাবিত হতে পারে, এবং এই ধর্মঘটের ফলে আস্থার সংকটও তৈরি হতে পারে। প্রশাসন ও ট্রাকমালিক সংগঠনগুলির মধ্যে সমঝোতা হলে, হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

 

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর