ব্যুরো নিউজ, ১১ সেপ্টেম্বর:জম্মু-কাশ্মীরে ফের অশান্তি দেখা দিয়েছে। বুধবার গভীর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের আখনুর এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। এই সংঘর্ষের ফলে এক সেনা আহত হয়েছেন। ক্যানাচক এলাকায় গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং রাত পেরিয়ে বুধবার সকালে সেই সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।সেনা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ সীমান্তের ওপার থেকে আচমকাই গোলাগুলি শুরু হয়। পাকিস্তান থেকে ছোড়া গুলির আঘাতে এক জওয়ান আহত হয়েছেন এবং তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর পরই সীমান্ত এলাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পেটের সমস্যায় ভুগছেন? চিন্তা করবেন না, উপকারে আসতে পারে বিশেষ ধরনের চা
জঙ্গিরা নিরাপত্তাবাহিনীর উপর একাধিক হামলা চালায়
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে এবং ভোট ঘোষণার পর থেকেই উপত্যকাটি বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রায় নিয়মিতভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে, যা প্রশাসনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ভারতীয় সেনা এই জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। অগাস্ট মাসের শুরুতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল যে, অসম রাইফেলসের দুটি বিশেষ প্রশিক্ষিত ব্যাটালিয়নকে মণিপুর থেকে এনে সাম্বা সেক্টরের উত্তরে মাচেদিতে মোতায়েন করা হবে। পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকাতে সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিরা নিরাপত্তাবাহিনীর উপর একাধিক হামলা চালিয়েছে।
সোয়াবিন খেলে কী কী উপকার হয়? জানেন কি
এছাড়া, গত কয়েক মাস ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি নাশকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগে, কাশ্মীরের পাহাড়ি অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই জঙ্গিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে এসেছে এবং তাদের কাছে আধুনিক অস্ত্র, আরপিজি, মেশিনগান, নাইট ভিশন ডিভাইস ও উন্নত স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের খোঁজে সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে। পাহাড় ও জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং বিশেষ বাহিনীও কার্যকরভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে, প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ এবং প্রশাসন সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বোধ করা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও শান্তি বজায় রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং সেখানে নতুন করে সহিংসতার বিস্তার প্রতিরোধের জন্য প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।