ব্যুরো নিউজ,৩০ জুলাই: বাংলা জুড়ে তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহাওয়া। ২০২৩ সালের মে মাসের ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ময়নার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। তারপরেই রাত্রে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুলিশ বিজয় কৃষ্ণের দেহ উদ্ধার করে।
মিথ্যাচারে ওস্তাদ মুখ্যমন্ত্রী, নীতি আয়োগ থেকে ফিরেই বিধানসভায় নাটক শুরু, আক্রমণ বিজেপির
আগাম জামিন বাতিল করলো হাইকোর্ট
এই ঘটনায় সেই সময় বাংলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিরোধীদল বিজেপির তরফে আন্দোলনের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। উত্তাল হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না সংলগ্ন এলাকা। দিল্লি থেকে জাতীয় এস সি কমিশন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিল। সেই সময় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, পুলিশের নেতৃত্বেই মার্ডার। আপনারা খবরের হেডলাইন করুন…. পুলিশের নেতৃত্বে মার্ডার।
স্বাস্থ্যের বেহাল দশা, মমতার দাবি উড়িয়ে বিরোধী সুর তৃণমূল সাংসদ রচনার গলায়
কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় প্রথমে এনআইএকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে চলতি বছরে এপ্রিল মাসে পুরোপুরি তদন্তের দায়িত্ব এন আই এর হাতেই দেওয়া হয়। এবার ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় ৫ জন অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি কর্মী বিজয় কৃষ্ণ ভূঁইয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। অভিযুক্ত পাঁচজনের আগাম জামিনের আবেদন করা হয় আদালতে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ ওই পাঁচ অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।