ব্যুরো নিউজ,২৭ জুলাই: সরকারের বাজেট নিয়ে ক্ষোভের কারণেই নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। ইন্ডিয়া জোটের ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাচ্ছেন। তাহলে কি ইন্ডিয়া জোটের বাইরে চলে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশের সঙ্গে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করলো কলকাতা হাইকোর্ট
নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে মমতার বক্তব্য
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগেই যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যাব, কথা দিয়েছিলাম, তাই যাচ্ছি। তবে এরা বাংলার সঙ্গে যে বঞ্চনা করেছে, বিরোধী রাজ্য গুলির সঙ্গেও বঞ্চনা করা হয়েছে। ৭ দিন আগে আমাদের লিখিত বক্তৃতা পাঠাতে বলেছিল। তারপরে বাজেট পেশ করা হয়। মমতার কথায়, বাজেটে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে। আমরা যেটা মানতে পারছি না। বিরোধী রাজ্যগুলির হয়ে কথা বলব, দাবী জানাবো। প্রসঙ্গত, বাজেট পেশের পরেই জানা যায়, বঞ্চনার প্রতিবাদে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করবেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
জামালের প্রাসাদে জলের ট্যাঙ্ক নাকি গুপ্তধনের ঝাঁপি
শুধু তাই নয়, তারপরেই ইন্ডিয়া জোটের শরিক আরো তিন মুখ্যমন্ত্রী তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন, কেরলের পিনারাই বিজয়ন এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলেই জানা গেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলে থাকায় তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, বাজেটে বিরোধী অধিকাংশ রাজ্যের সঙ্গে সরকার অন্যায় অবিচার করেছে। আমরা আশা করি মমতাজি ওই বৈঠকে যোগ দেবেন না। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া জোটের বাকি মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দিল্লি চলে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, ইন্ডিয়া জোটে কি ফাটল ধরেছে?নাকি অন্য কোনো কারণ।