ভোটের আবহে কুণাল ঘোষের ভবিষ্যৎবাণী! কটি আসন পাবে তৃণমূল?
নানা সংস্থা প্রাক ভোট সমীক্ষায় ইতিমধ্যে কে, কটি আসন পাবে, তা নিয়ে শুরু করেছে বিশ্লেষণ
ব্যুরো নিউজ,১৬ মার্চ, পুস্পিতা বড়াল: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী কোনো নতুন কথা নয়। বিশেষত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার কাটাছেঁড়ায় ভোটের আগেই যেন ফল সহজেই অনুমান করা যায়। সেই একই চিত্র ধরা পড়ছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আবহেও। নানা সংস্থা প্রাক ভোট সমীক্ষায় কে, কটি আসন পাবে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু করেছে বিশ্লেষণ। তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) নিশ্চয়তার সঙ্গে ভবিষ্যৎবানীর মত বলে দিলেন, বাংলায় বিয়াল্লিশের মধ্যে লোকসভা ভোটে তৃণমূল কটি আসন পাবে আর কীভাবে রুখতে হবে বিজেপিকে।
লোকসভা ভোটের সঙ্গেই হবে রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন
অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শেষ পর্যন্ত নামবেন দলের প্রচারে? কী বলছে দলীয় কর্মীরা?
নানা সংস্থা প্রাক ভোট সমীক্ষায় ইতিমধ্যে কে, কটি আসন পাবে, তা নিয়ে শুরু করেছে বিশ্লেষণ
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে শনিবার কুণাল ঘোষ বলেন, ”লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৩০ থেকে ৩৫ আসন নিশ্চিতভাবে পাবে। বাম, কংগ্রেস শূন্য পাবে। কোথাও কোনও আসন পাবে না তারা। আর বিজেপিকে কীভাবে দুটি, তিনটি, চারটি আসনে বেঁধে রাখা যায়, তা দেখতে হবে। আমাদের টার্গেট বাংলায় বিয়াল্লিশটার মধ্যে বিয়াল্লিশটা আসন। তবে ৩০ থেকে ৩৫ আসন নিশ্চিত। এর পর তা কতটা এগোনো যায়, দেখতে হবে।”
শুধু তাই নয়, কটি দফায় ভোট হবে বাংলায়? তা নিয়ে কুণাল ঘোষ বক্তব্য রেখেছেন, ”আমরা চেয়েছি একদফায় ভোট হোক। বেশি দফায় ভোট করে কী হবে? বরং স্কুল, কলেজগুলিতে বেশিদিন ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তাতে পড়াশোনার ক্ষতি। এছাড়া মানুষজনও বিব্রত থাকবেন। আমরা চাই, বাংলার ৪২ আসনে একদফায় ভোট হয়ে যাক। রাজ্যে অবাধ , শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ আছে। একদফায় ভোট হলে সমস্যা নেই।” উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল ৪২-এর মধ্যে ৩৪ টি আসন পেয়েছিল। উনিশের ভোটে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২-এ। এবার চব্বিশে তাঁদের টার্গেট ৩৫।