ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি হাইকোর্টের তরফে। রাজ্যের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারবে। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে। প্রয়োজন হলে পলাতক নোটিশ জারি করতে হবে।
চিটফান্ড কাণ্ডে মুকুলকে ইডির জেরা
আদালতের ওই নির্দেশের পরেই শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি রাজ্যকে চিঠি দিয়ে দ্রুত শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি চেয়েছেন। চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, যদি শাহজাহানকে ধরতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তবে তা জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজভবনে। যদিও রাজভবনের তরফে এই চিঠির বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা নিয়ে সন্দেশখালির গ্রামবাসীরা বহুদিন ধরে তাদের দাবি জানিয়ে আসছে। সন্দেশখালির গ্রামবাসীদের উপর সবরকম অত্যাচারের মাথা হলো এই শেখ শাহজাহান।
রাজ্যকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের
৫ ই জানুয়ারি থেকে সন্দেশখালি উত্তপ্ত হলে শেখ শাহজাহান ও তার ভাই শেখ শিরাজুদ্দিন সহ তার শাগরেদ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের নাম উঠে আসে খবরের শিরোনামে। কিন্তু এখনো অধরা শেখ শাহজাহান, তার ভাই সিরাজুদ্দিন সহ আরও অনেকেই যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির দাবি তুলেছে গ্রামবাসীরা।
গত রবিবার এই নিয়ে মহেশতলার এক প্রকাশ্য জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির জন্য বাধা কলকাতা হাইকোর্ট। তিনি বলেছেন, “এই নিয়ে কোনোরকম দ্বিমত সংশয় রাখবেন না শেখ শাহজাহানকে তৃণমূল কংগ্রেস গার্ড করছে। শেখ শাহজাহানকে যদি কেউ গার্ড করে জুডিশিয়ারি গার্ড করছে”। তার পরেই সোমবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এমন নির্দেশ মমতা সরকারকে এমনিতেই বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছিল। এরই মধ্যে রাজ্যপালের এমন নির্দেশ যেন তাদের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো কাজ করছে বলে মনে করছে গোটা রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার কবে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান। ইভিএম নিউজ