ব্যুরো নিউজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি: কিছুদিন আগে চোপড়ার চেতনাগাছে BSF এর খোঁড়া নর্দমার মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৪ শিশুর। এরপর থেকেই ওই শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় BSF এর উপর অভিযোগের খাড়া তুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। গত মঙ্গলবার চোপড়া গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেফতার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়
সেখানে গিয়ে তিনি মৃত শিশুদের পরিবারের সাথে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি ওই শিশুদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তবে এর আগে চোপড়ায় গিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখান থেকে তিনি কেন্দ্রকে নিশানা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বেআইনিভাবে কাজ করার ফলে এই বিপত্তি ঘটেছে।
এরপর সেখানে গায়ে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে মন্ত্রী গুলাম রব্বানীকেও। আর এবার চোপড়ার ঘটনায় মৃত চার শিশুর পরিবারকে ২ লাখ করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের কাছে নির্দেশ গিয়েছে। ক্ষতিপূরণ ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক মহলে রাজনৈতিক মহলে জোর তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, কেন এতদিন মুখ্যমন্ত্রী মুখ বন্ধ করে ছিলেন? আগে কেন তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি? এই প্রসঙ্গে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা রায় বলেন, BSF তাঁদের দোষ স্বীকার করেছে। এর পরে যাতে আর কোন সমস্যা না হয় তার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনায় ইতিমধ্য়েই BSF এর চেতনাগাছ এলাকার বর্ডার অবজারভেশন পোস্টের একজন ইন্সপেক্টর সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও গেফতার করা হয়েছে ঠিকাদার ও জেসিবির চালককে। তবে, এখন সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। কেন ঘটনার এতদিন পরে সজাগ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষতিপূরণ ঘোষণার পিছনে অনেকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। ইভিএম নিউজ