ব্যুরো নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারি: অবশেষে বরফ গললো। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর উত্তর প্রদেশে মোট ৮০ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭ টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়ল সমাজবাদী পার্টি। বাকি ৬৩ টি আসনে লড়বে অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সপা। অখিলেশ আগেই জানিয়েছিল উত্তর প্রদেশে লোকসভা আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে রফা না হলে রাহুল গান্ধীর ভারত জড়ো ন্যায় যাত্রায় তারা যোগ দেবেনা। শেষমেশ রফা হওয়ায় অখিলেশের এক মুখ হাসি দেখা গেল। বলেই ফেললেন, ‘ভাই সব ভালো যার শেষ ভালো’। জানাগেছে এই বরফ গলানোর কাজটি পেছন থেকে করেছেন সনিয়া গান্ধী ও তার কন্যা প্রিয়াঙ্কা। অখিকেশও জানিয়ে দিয়েছেন রাহুলের ন্যায় যাত্রায় তারা যোগ দেবেন না।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! তবে কী খুব শিগগির বাজতে চলেছে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট?
উত্তর প্রদেশে এই আসন সমঝোতার পরে বরফ গোলতে পারে দিল্লির ক্ষেত্রেও। আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যেখানে বলেছিলেন পাঞ্জাবে তারা একাই লড়বেন সেখানে দিল্লিতে তারা কংগ্রেসকে একটি আসন ছাড়তে পারেন বলে বেশ নরম সুরে গান গেয়েছেন আপ নেতা তথা সাংসদ সন্দীপ পাঠক। তার যুক্তি, বিগত বিধানসভায় দিল্লিতে একটি আসনও জিততে পারেনি কংগ্রেস, এমনকি লোকসভাতেও শূন্য। দিল্লি পুরসভা ২৫০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৯ টি আসন। উত্তর প্রদেশে সফল আসন রফায় অনেকটাই স্বস্তিতে ইন্ডিয়া জোট। মোণে কোড়া হচ্ছে সেই সূত্রেই দিল্লিতেও রফায় আসতে চাইছে আপ। ইন্ডয়া জোটে প্রথম থেকে শেষমেশ পিঠ দেখিয়েছেন মমতা। নলে দিয়েছেন, বাংলায় তারা একাই লড়বেন। কংগ্রেসকে ২ টি আসন ছেড়ে সেই দুটি তে জিতিয়েও দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস তাতে আমল দেয়নি। বরং বামেদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে জোট অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবে বলেই মনে করছেন। কারন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট হওয়ার পর কংগ্রেসের যে কয়েকজন সাংসদ তাদের জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের মতো দলে টেনে নেবে তৃণমূল। কিন্তু, বামেদের সঙ্গে জোট হলে সেই আশঙ্কা নেই।
তবে, উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির আসনটি নিয়ে এখনও রফায় আসা যায়নি। গতবার ওই আসনে সনিয়া গান্ধী জিতেছিলেন। আর আমেথি কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী পরাস্ত হয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানীর কাছে। কংগ্রেস অবশ্য চেয়েছিল উত্তর প্রদেশে ১৯ টি লোকসভা আসন। কিন্তু, তাতে রাজি হয়নি অখিলেশ। রাগে ৩ টি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে ছিলেন তিনি। কিন্তু রফা হয়ে যাওয়ার পর দু’পক্ষই খুশি। বরং চণ্ডীগড় পুরসভায় আপ- কংগ্রেস জোট বেঁধে জয়ী হয়েছে। পরাস্ত হয়েছে বিজেপি। নিরবাচনে কারচুপি কোরতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়েছে বিজেপির। সেটাও অক্সিজেন দিচ্ছে আপ- কংগ্রেস- সপাকে। তবে মোদীর বিজয় রথ যে থামানো প্রায় অসম্ভব সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন মোদী বিরোধীরাও।