ব্যুরো নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি। জানা গিয়েছে, এবার মার্চের মাঝামাঝি ঘোষনা হতে পারে নির্বাচনের দিন ও এপ্রিলের শুরুতেই হতে পারে ভোট গ্রহণ পর্ব। গতবারে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১০ই মার্চ ভোট গ্রহণ শুরু হয় ও ১১ই এপ্রিল ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয়। ২০১৯ এ পশ্চিমবাংলায় ৭ দফায় এই নির্বাচন হয়। তবে এবারে গত বছরের থেকেও বেশি দফায় ভোট গ্রহণ হতে পারে বাংলায় এবং বুথের সংখ্যাও বেশি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হতে পারে অনেক আগে থেকেই।
গত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবাংলা যেভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল তার জন্য এবার স্পর্শকাতর এলাকা গুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। সংবেদনশীল বুথের তালিকা চাওয়া হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে।
আগামী ৬ মার্চ বঙ্গ সফরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
২০২৪-এ লোকসভার নির্বাচনের রনতরি কিভাবে সাজানো হবে তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্র আধা সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার একসাথে বৈঠকে বসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। আর জানা যাচ্ছে নির্বাচন শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই পশ্চিমবাংলায় মোতায়েন করা হবে আধা সামরিক বাহিনী। আগামী ৪ মার্চ বঙ্গে আসতে চলেছে দিল্লির মুখ্য নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। ৫ই মার্চ তারা সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকা ও স্পর্শকাতর বুথগুলির তালিকা নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসতে চলেছেন তার সাথে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করে তৈরি হবে ভোট কৌশল।
৬ই মার্চ রাজ্য মুখ্য সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডি জি র সঙ্গে বৈঠকের পর সমস্তটাই জানানো হবে সাংবাদিক সম্মেলন করে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে যত সংখ্যক আধা সামরিক বাহিনী এসেছিল তার থেকে অনেক বেশি আধা সামরিক চাওয়া হচ্ছে এবারে নির্বাচনে যা, কাশ্মীরের থেকেও অনেক বেশি। সুত্রের খবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হবে পশ্চিমবাংলার জন্য। ২০২১ বিধানসভা ভোট এবং গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় যে অশান্তির তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবাংলায় তার কথা ভেবেই এবারে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ।জানা যাচ্ছে স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও চালানো হবে। এই বিপুল সংখ্যায় বাহিনী এনেও সত্যিই কি স্বাধীন এবং মুক্তভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হবে কারণ ইতিপূর্বে বাহিনীদের দেখা গিয়েছিল। হাজারদুয়ারি ঘুরতে অথবা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে প্যাকেটে করে বিরিয়ানি খেতে ,রাজ্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণে সেই বাহিনী ছিল একেবারেই নির্বিশ। ইভিএম নিউজ