ব্যুরো নিউজ,১৯ ফেব্রুয়ারি: ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল দেশের জন্য কিছু করার মাধ্যমে নিজেকে দেশের কাজে উৎসর্গ করার। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করে তাক লাগিয়ে দিলো পাঁশকুড়ার যুবক সুদীপ মাইতি। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সুদীপ সুযোগ পেলেন দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-তে। চক দুর্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সুদীপ। ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবি সে।
DRDO- তে হতদরিদ্র সুদীপ
তাঁর বাবা গোবিন্দ মাইতি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ও মা নীলিমা মাইতি পেশায় সামান্য বিড়ি শ্রমিক। সুদীপ পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহম্মদ মুরাদ মাইতি পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে মঙ্গলে জম্মু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
বৃদ্ধ গোবিন্দ বাবু তাঁর পেশাগত কারণে বহু অট্টালিকা নির্মাণ করলেও নিজের জন্য একখানা ঘরও তৈরি করে উঠতে পারেননি।
জীবনের চরাই উৎরাইয়ের প্রতিটি পদে পাশে পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী নীলিমা দেবিকে। তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে অভাবের সংসার গোবিন্দ বাবু ও নীলিমা দেবির। শত অভাবের মধ্যেই দুই মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন। সরকারি আবাসের জন্য আবেদন করেও সেই আবেদন পূরণ হয়নি। তাই শতছিন্ন ত্রিপল ঘেরা বাড়িতে একত্রে তাঁদের বাস।
সে বিজ্ঞান বিভাগে পূর্ব চিলকা লালচাঁদ হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করে। এরপর শিয়ালদহের পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করে সে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা শেষ করে কলকাতার একটি বেসরকারি বেসরকারি কলেজ থেকে বি টেক করে। বর্তমানে সে আইআইটি গুয়াহাটিতে এম টেক নিয়ে পড়াশোনা করছে। চলতি বছরের শুরুতে ডিআরডিও দেরাদুন থেকে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপের জন্য সুদীপকে ডেকে পাঠানো হয়। আর সেই খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তেই আত্মীয় পরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বয়ে চলেছে খুশির হওয়া। ইভিএম নিউজ