ব্যুরো নিউজ, ১৬ ফেব্রুয়ারি: যেমন কর্ম তেমন ফল! কলকাতা চিড়িয়াখানার পুনরাবৃত্তি হল, শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর জুলজিক্যাল পার্কে। তিরুপতির ওই জুলজিক্যাল পার্কে, বৃহস্পতিবার সেলফি তোলার নেশায় খাঁচা বন্দী সিংহ ঘাড় মটকালো রাজস্থানের আলুয়াড়ের বাসিন্দা প্রহ্লাদ গুজ্জারের।
সেলফি তোলাই হল কাল
বিমানবন্দরে হুইলচেয়ারের কমতি, তার জেরে প্রাণ গেল যাত্রীর
২০২১ সালের মার্চ মাসে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের এনক্লোজারে লাফ দিয়ে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি। বিরক্ত সিংহ ওর পা টেনে এনক্লোজারের ভিতরের দিকে বেশ খানিকটা নিয়ে যায়, তবে চিড়িয়াখানা কর্মীদের তৎপরতায় উদ্ধার করা গিয়েছিল সেই ব্যক্তিকে। জানা গেছে ওই ব্যক্তি কিছুটা মানসিক বৈকল্ল্যে ভুগছিল।
এর আগে চিড়িয়াখানায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সবার চোখ এড়িয়ে ২ পর্যটক ঢুকে পড়ে শিবার খাচায়। শিবা নামে ওই বাঘ প্রথম দিকে কিছু বলেনি। চুপচাপই ছিল কিন্তু হঠাৎই তার গলায় মালা পরাতে চায় ওই দুই হি-ম্যান। শেষ পর্যন্ত শিবার থাবায় প্রাণ যায় একজনের। এরপর আর বাঘের খাচায় ঢোকার কোন সুযোগ যাতে কেউ না পায়, তাই নিরাপত্তা আটোসাটো করা হয়।
এবার গত বৃহস্পতিবার সেলফি তুলতে ভেঙ্কটেশ্বর জুলজিক্যাল পার্কে ঢুকে পড়েছিল প্রহ্লাদ। তাকে খাঁচায় উঠতে দেখে চিড়িয়াখানার কর্মীরা রে রে করে ওঠে। কিন্তু কে মানে কার নিষেধ। পশুরাজের সঙ্গে সেলফি তুলবেই গুজ্জার, দেখাতে হবে তার হি-ম্যান ইমেজ। গুজ্জার খাচায় ঢুকতেই সতর্ক হয়ে যায় তিনটি সিংহ, সুন্দরী, কুমার ও দোঙ্গালপুর। এতক্ষন সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে সেলফি? এত সাহস কোন মনুষ্য কুলোজাতর? তাই সিংহের সামনে মোবাইল খুলতেই একটি সিংহ, সবক শেখাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে গুজ্জারের ঘাড়ে। কিছুই করেনি পশুরাজ, শদেড়েক কেজির ওজনের এক পশুরাজ শুধু ঘাড় মটকে, কাজুবাদামের মত চারটি দাঁত দিয়ে, ঘাড়ের দফারফা করে বসে। পরে জু-কর্তারা উদ্ধার করে গুজ্জারকে। কিন্তু ততক্ষণে গুজ্জারের পঞ্চতত্ব ঘটে গেছে। খাঁচা থেকে গুজ্জারের পরিচয় পত্র পাওয়া গেলেও খোয়া গেছে তার মোবাইলটি।