ব্যুরো নিউজ, ২৩ জানুয়ারি: আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে CBI- এর তলব
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য CBI সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে তলব করল। ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন মামলায় করা অভিযোগে এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পর, লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। তাঁর সাংসদ পদও খারিজ করে দেওয়া হয়।
মলয়কে ইডির তলব | নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ অর্থ ও দামী উপহার সামগ্রী ঘুষ হিসেবে নিয়ে, সংসদে গৌতম আদানি ও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছিলেন। এই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি জানান, জয় অনন্ত দেহদ্রাই তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠির ভিত্তিতেই এই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, জয় অনন্ত দেহদ্রাই তাঁর প্রাক্তন বন্ধু। CBI তাঁকে আগামী ২৫ জানুয়ারি তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডেকেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর CBI-এর কাছে জয় অনন্ত দেহদ্রাই জানিয়েছিলেন, মহুয়া মৈত্র, তাঁর সংসদের লগইন ও পাসওয়ার্ডের বিশদ বিবরণ, শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিকে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ওই শিল্পপতির কাছ থেকে তিনি নগদ অর্থও নিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছ মহুয়া মৈত্রর। সেই যোগাযোগ ব্যবহার করে, তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানি বলেছিলেন, তৃণমূল সাংসদ হিসাবে তাঁর ইমেল আইডি শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। মহুয়ার ইমেইলে তিনি বিভিন্ন তথ্য পাঠাতেন। সেই তথ্য ব্যবহার করে সংসদে প্রশ্ন করতেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সংসদীয় ইমেইলের লগইণের বিশদ বিবরণ ভাগ করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তবে, তিনি দাবি করেছেন, ওই সকল তথ্য যে কারও সঙ্গে ভাগ করা যাবে না, তা তিনি জানতেন না। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
উল্লেখ্য, পূর্বে, মহুয়া পুলিশের কাছে জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, চুরি, অশ্লীল বার্তা পাঠানো ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিলেন। তাদের সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর, দুজনের মধ্যে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা থেকেই জয় অনন্ত দেহদ্রাই এই সকল অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন মহুয়া। ইভিএম নিউজ