ব্যুরো নিউজ, ১২ জানুয়ারি: পড়ুয়াদের পায়ে জুতো নেই, সমালোচনা কেন্দ্রের
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দলের চোখে পড়লো খালি পায়ের পড়ুয়া। দিসেম্বের জানুয়ারি মাসের প্রবল শীতে এই দুই জেলায় বহু পড়ুয়াকেই খালি পায়েই স্কুলে যাতায়াত করতে দেখেছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। বিশেষত তালড্যাংরা মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বেশিরভাগই খালি পায়ে ঘুরছে দেখে কেন্দ্রীয় দল তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনকে চিহ্নিত করেছে। অথচ স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক ও জুতো বিনামুল্যে দেয় রাজ্য। ওই ৪৩ জনের অনেকেই বলেছে তাঁরা বছরে স্কুলের জামা- প্যান্ট পেলেও এখনো একবারও জুতো পায়নি।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার ভৌমিক এব্যাপারে মুখ খোলেননি। তালড্যাংরা পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নন্দিতা সিংহ বলেছেন, ২ বছর অন্তর জুতো বিলি হয়। কিন্তু এবছর প্রয়োজনস্বরূপ জুতো আসেনি। ইতিমধ্যেই জেলার শিক্ষা সংসদ ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পড়ুয়ার জুতো পাঠানোর আবেদন জানালেও তা এখনো আসেনি। আর তাতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যবেক্ষক দল।
মন্ত্রীর বাড়িতে ইডির হানা প্রসঙ্গে শুভেন্দুর কটাক্ষ
এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা এমএল শোণীর অভিযোগ বাঁকুড়া সিমলাপাল লক্ষীসাগর এলাকায় একটি স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় কেনা কম্পিউটার অব্যবহৃত রূপে পরে রয়েছে। বহু স্কুলেই মিড ডে মিলের খাবার রান্না হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে। স্কুলের শৌচাগার অপরিষ্কার।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লিখেছিলেন, কেন্দ্রীয় দল জানেনা রাজ্য সরকার প্রসূত স্কুলগুলিতে পোশাক ও জুতো দেয় রাজ্য। একথার উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, মকরসংক্রান্তির মধ্যে জুতো না পেলে আমি নিজেই দেবো। খোলা ময়দানে মিড ডে মিল তৈরির বিষয়ে সুভাষবাবু বলেন, শিক্ষা মন্ত্রকের রুশা ১ ও রুশা ২ প্রকল্পে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা খরচ করতে পারছেন না রাজ্য। ইভিএম নিউজ