ব্যুরো নিউজ, ৯ জানুয়ারি: কেন প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে সাড়ম্বরে পালিত হয় নেতাজির জন্মদিবস?
প্রতিবছর ২৩ জানুয়ারি বিভিন্ন স্কুল কলেজে সাড়ম্বরে পালিত হয় রাষ্ট্রনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস। তাঁকে স্মরণ করার মাধ্যমে তাঁর জন্মদিবস পালিত হয়। সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, ওড়িশার কটক শহরে। তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ও মাতা প্রভাবতী দেবী। তাঁর বাবা ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী। স্কুল কলেজের ছাত্রদের মধ্যে মূলত তাঁর শিক্ষা, সাহস, দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সততা তুলে ধরার জন্য বিশেষ উৎসাহ দেওয়া হয়। তিনি শিখিয়েছিলেন ‘ও হিন্দ তু আগে বাড়’। তিনি ছিলেন দেশত্ববোধ ও যুবশক্তির আদর্শ। এদেশের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ভারতকে পরাধীনতার অন্ধকার থেকে বার করে আনতে প্রাণ দিয়ে লড়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান।
অল্পদিনের মধ্যেই সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা হয়ে উঠেছিলেন। তিনি কংগ্রেসের দুবারের সভাপতিও নির্বাচিত হন। এরপর একবার কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুভাষ। ইংরেজ সরকার তাঁকে বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখার চেষ্টা করলে ১৯৪১ সালে ছদ্মবেশ ধরে প্রথমে জার্মানিতে পরে সেখান থেকে তিনি জাপানে পাড়ি দেন। জাপানে রাসবিহারী বসুর সঙ্গে যােগ দিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক হয়ে ওঠেন তিনি। সেই প্রথম সকলের কাছে নেতাজি হয়ে উঠলেন সুভাষ।
জীবনে সাফল্য পেতে মেনে চলুন স্বামী বিবেকানন্দর এই উপদেশ
আজাদ হিন্দ ফৌজ আরাকান, ইম্ফল, জয় করে কোহিমা পর্যন্ত পৌছায়। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমার আঘাত হানা হলে জাপান আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর নেতাজি তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ফিরে আসেন। তিনি আত্মসমর্পণের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাপানের টোকিওতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে যাওয়ার পথে ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু এরোড্রমে এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তাঁর এই মৃত্যু নিয়ে আজও রহস্য ঘনীভূত। ২০০৬ সালে মুখার্জি কমিশন প্রমাণ করে দেন যে ওই বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি। এছাড়াও জাপানের রেনকোজী মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম আসলে নাকি নেতাজির চিতাভস্ম নয়।
কিন্তু অন্তর্ধানের পরেও তাঁর দীপ্ত বক্তব্য আজও তরুণদের উদ্দীপ্ত করে। তার বিখ্যাত বাণী, ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’ গোটা দেশের ভবিষ্যত ও স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব বানী। তাই আজও অতি সারম্বরে এই দেশনায়ককে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর জন্মদিবস পালন করা হয়। ইভিএম নিউজ