ব্যুরো নিউজ, ৭ জানুয়ারি: বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে মাদক পাচার চক্র! অনলাইনে অর্ডার করে পিজিতে বসেই গাঁজা সেবন পড়ুয়াদের!
কলেজ পড়ুয়াদের হাতে সিগারেট। আর তাতেই ভরা মাদক দ্রব্য।
কোথায় শাহজাহান? কী জানালেন তাঁর ভাই?
নয়ডার এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে মাদক পাচার চক্র। পাশাপাশি দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের আরও কয়েকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সরবরাহ করা হত। এবার বিশাল বড় মাদক চক্রের হদিস পেল পুলিশ। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েই চলছিল মাদক পাচার। কলেজে পড়তে আসা যুবক-যুবতীরাই ক্রেতা। গাঁজা, চরস থেকে শুরু করে হ্যাসিস-সমস্ত ধরনের মাদকই কেনা-বেচা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালায় পুলিশ। বিরাট এক মাদক চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ। বিপুল পরিমাণ মাদক- সহ এদিন গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। এদের মধ্য়ে একজন আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াও।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম নয়, কয়েক মাস আগেও ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে মাদক চক্রের হদিস মিলেছিল। সেই সময়ও গ্রেফতার করা হয়েছিল নয়জন মাদক পাচারকারীকে। ধৃতদের মধ্যে চারজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিল। ওই পড়ুয়ারা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এমনকি ৩০ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয় তাঁদের কাছ থেকে।
নয়ডার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দের জানান, নভেম্বর মাসে যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জেরা করেই মাদক চক্রে জড়িত বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী ফাঁদ পাতা হয়। শনিবার ওই ফাঁদেই পা দেয় ৫ জন মাদক পাচারকারী। অভিযুক্তদের জেরা করে জানা গিয়েছে, মূলত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের আশেপাশের পিজি-গুলিকেই টার্গেট করা হত। পড়ুয়াদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে মাদকের নেশায় আসক্ত করা হত। জেরায় জানা গিয়েছে, মাদক পাচারকারীরা শিলং থেকে গাঁজা-সহ অন্যান্য মাদক আনত। এছাড়া প্রচুর সিন্থেটিক ড্রাগসও উদ্ধার করা হয়েছে। অনলাইনেই মাদকের অর্ডার দিত পড়ুয়ারা। পাচারকারী গ্যাংয়ের এক সদস্য সেই মাদক বিশ্ববিদ্যালয় ও পিজি-হস্টেলগুলিতে মাদক সরবরাহ করত। ইভিএম নিউজ