ব্যুরো নিউজ, ২ জানুয়ারি: জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ | ফেটে পড়লেন গাড়ির চালকরা
বাঁকুড়ার জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গাড়ির চালকরা। ট্রাফিক নিয়ম ও নীতির ভুলভ্রান্তি শুধরে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নতুন পরিবহন আইন চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ।
জাপানে ফের বিপর্যয়! সাড়ে ৩০০ যাত্রী নিয়ে অন্য বিমানে ধাক্কা
বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুর্ঘটনার সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখে, তা না শুধরে উল্টে কেন্দ্র সরকার জোর করে নতুন পরিবহন আইন লাগু করছে। নতুন এই আইন লাগু হলে দেশের ২২ কোটি পেশাদার গাড়ি চালক জীবন জীবিকার অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে। এই অবস্থায় অবিলম্বে নতুন এই আইন প্রত্যাহার করা না হলে, আগামীদিনে দেশ জুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী গাড়ি চালকরা।
এদিন সর্ব চালক কল্যাণ সংঘ নামের একটি সংগঠনের তরফে বাঁকুড়া শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে চালকরা। তাঁরা হাজির হন জেলাশাসকের দফতরে। সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি জেলা শাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বিভিন্ন গাড়ি চালকদের দাবি, দেশে মূলত ২২ টি কারণে পথ দুর্ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে অধিকাংশ দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহন দফতর-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দেশের পরিবহন নীতি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ নীতিতে ‘হিট অ্যান্ড রানে’র ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত চালকের ১০ বছরের জেল ও সাত লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। আগে এই অভিযোগে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হত। কিন্তু এখন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হবে। এই আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন, প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ট্রাক চালকরা। কোথাও জ্বালানো হচ্ছে টায়ার। পুলিশের লাঠিচার্জে পরিস্থিতি আরও হয়েছে উত্তাল। এই অবস্থায় নিজেদের দাবিতে অনড় গাড়িচালকরা, পাশাপাশি আগামিদিনে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। ইভিএম নিউজ
