ব্যুরো নিউজ, ২৪ ডিসেম্বর: কে এই স্যান্টা? কেন তার উপহারের জন্য আজও অপেক্ষা করে শিশুরা?
কথিত আছে, চতুর্থ শতাব্দীতে তুরস্কে সেন্ট নিকোলাস বা স্যান্টাক্লজ নামের একজন দয়ালু ব্যক্তি বাস করতেন। খুব ছোটতে তাঁর বাবা মা মারা গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যখন ধনী হয়ে ওঠেন তখন গোপনে সবসময় তিনি গরীবদের সহায়তা করতেন। তিনি সাহায্য করতেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর নাম প্রচার হোক তা তিনি চাইতেন না। তাই রাতের অন্ধকারে গরীবদের বাড়িতে তাদের জন্য উপহার রেখে চলে আসতেন। একদিন তিনি জানতে পেরেছিলেন একজন গরীব মানুষের তিন কন্যা আছে, কিন্তু টাকার অভাবে তাদের বিয়ে হচ্ছে না। সেই গরিব মানুষের কথা শোনা মাত্রই তিনি ঠিক করেন যে তাকে তিনি গোপনে সাহায্য করবেন। কিন্তু এইবার আর তার এই মহানুভবতার পরিচয় গোপন থাকে না।
‘স্বপ্নে নেহি, হাকিকত বনতে হ্যায়, ইসি লিয়ে তো সব মোদী কো চুনতে হে’, ২৪-এ পদ্ম শিবিরে নয়া স্লোগান
ওই কন্যাদায়গ্রস্ত গরিব মানুষটি মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন বাড়ির বাইরে চিমনিতে। হঠাৎ তিনি দেখেন সেই মোজা থেকে ঘরের মধ্যে সোনায় ভরা ব্যাগ পড়েছে, তাও আবার একবার নয় তিন তিনবার। শেষেরবার ওই ব্যক্তি নিকোলাসকে দেখতে পেয়ে যান। এই কথা প্রচার হওয়ার পর থেকেই কেউ কোনও গোপন উপহার পেলেই ভাবতেন সেটা সেন্ট নিকোলাস অর্থাৎ স্যান্টাক্লজ দিয়ে গেছেন।
এই গল্প ধীরে ধীরে জনমানসে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ইউরোপে ক্রিসমাসে বাচ্চাদের উপহার দেওয়ার রীতির প্রচলন ছিলো । সেখানে নিকোলাস হয়ে উঠলেন সেন্ট নিকোলাস বা ফাদার নিকোলাস। বরফ ঢাকা মেরু প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিনের আগের রাতে স্লেজ গাড়িতে চেপে পৌঁছে যেতেন ঘরে ঘরে এবং উপহার দিয়ে আসতেন খুদেদের।
সকলের বিশ্বাস, উপহারের পাশাপাশি তিনি মনোবাঞ্ছাও পূরণ করেন। তাই ২৪ ডিসেম্বর রাতে মোজা ঝুলিয়ে রাখা হয় সান্তাক্লজের থেকে বিশেষ দিনে উপহার পাওয়ার আশায়। আবার এও কথিত আছে, কানাডার মুস্কোকা গ্রামকে বলা হয় সকলের প্রিয় সান্তাক্লজের বাড়ি। সেখনে সান্তার নামে একটি মেইলিং পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে আজও লক্ষ লক্ষ চিঠি পৌছায়। এই ডাকের কোডটি হল,’ H0H0H0’। সেই থেকেই মনে করা হয়, সান্টা ‘হোহোহো’ করে হেসে উপহার দেবেন ২৪ ডিসেম্বর রাতে।
এরপর থেকেই বড়দিনের আগের রাতে সব খুদেরা মোজা ঝুলিয়ে রাখতে শুরু করলো স্যান্টাক্লজের কাছ থেকে উপহারের আশায়। সময় পাল্টালো, দিন পাল্টালো কিন্তু স্যান্টাক্লজের ধারণা পাল্টালো না। আজও খুদেরা বড়দিনের আগে ২৪ডিসেম্বর রাতে মোজা ঝুলিয়ে রাখে এই বিশ্বাসে যে, সান্টা আসবে, আর তার জন্য উপহার রেখে যাবে। যদিও খুদেদের ভাবনার স্যান্টা আজ হয়ে উঠেছেন তাদের বাবা-মায়েরাই। ছোট্ট শিশুদের খুশি করার জন্য তারাই রাতের অন্ধকারে রেখে যান উপহার। ইভিএম নিউজ