ব্যুরো নিউজ, ১৭ ডিসেম্বর:POK নিয়ে কী ভাবনা প্রধানমন্ত্রীর?
জহরলাল নেহেরুর ২ টো ভুল সিদ্ধান্ত এই কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী। এমনটাই মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবং আর্টিকেল ৩৭০-এর অবলুপ্তির দাবি বিজেপি সেই জন্মলগ্ন থেকে অর্থাৎ জনসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে করে আসছে। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত এই আর্টিকেল ৩৭০ প্রসঙ্গে রায় দিয়েছে। এবং আর্টিকেল ৩৭০ তুলে নিয়ে শীঘ্র নির্বাচন করে তা দেশের সংবিধানের অন্তর্গত করার কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতবর্ষকে যে পথে চালনা করছেন তাতে শুধু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নয় দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিকেও চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিশ্তিতভাবে মোদী সরকারে বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গুলির মধ্য একটি। এমনটাই বিশ্বাস বিশ্ববাসীর।
৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামাবাদের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধারা অবলুপ্তির পর জম্মু ও কাশ্মীরের আসন বিন্যাস নিয়ে সংসদে বক্তব্য রেখেছেন অমিত শাহ। সেখানেই তাঁর মুখে উঠে আসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রসঙ্গ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য আসন সংরক্ষণের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এই বক্তব্যের পরই জল্পনা উঠেছে তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করবে মোদী সরকার?
এমনকি মোদী শিবিরেরও এই বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার লোক যখন আছেন, তখন যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ৩৭০-এর মতো ধারাকে যদি কাশ্মীর থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়, লালচকে যদি ভারতের তেরঙ্গা উড়তে পারে। তাহলে যে কোনওদিন সকালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও দেখা যেতে পারে যে, ভারতের পতাকা উড়ছে।
প্রধানমন্ত্রীও ওপর আস্থা রেখে এমনটাও বলতে শোনা গেছে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে বিজেপি ভারতের অংশ বলেই মনে করে, এই বলিষ্ঠ ব্যক্তি দেশকে নেতৃত্ব দিতে দেশের সম্মান এবং স্বার্থের জন্য যা যা প্রয়োজন তা করবেন’। ইভিএম নিউজ