ব্যুরো নিউজ, ১৬ ডিসেম্বর: ফাঁকা ফ্ল্যাটে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ 

দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া এলাকার বাসিন্দা বছর ১৭- এর স্নেহা মুণ্ডা। শুক্রবার ফাঁকা ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল মেয়েটি। ওই পড়ুয়া ও তার বোন একাই থাকত বাড়িতে। মা কাজের সূত্রে বাইরেই থাকেন বেশির ভাগ সময়। বাড়ি ফিরে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, স্নেহার বাবা মারা গিয়েছেন অনেক আগে।

পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ওই ছাত্রীর টেস্ট পরীক্ষার ফল বেরোয়। মাকে ফোন করে স্নেহা জানায় সে পাশ করেছে। তখন তাঁর মা ফলাফলের একটি ছবি তুলে তাঁকে পাঠাতে বলেছিলেন। তার পরেই এই কাণ্ড। পরিবারের দাবি, টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে লজ্জায় আত্মঘাতী হয়েছে ওই পড়ুয়া। ফ্ল্যাটে ঢুকে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে চিৎকার ওঠেন মা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ।

স্বামী গত | তাঁর শুক্রাণু ব্যবহার করে সন্তান প্রসব মহিলার

স্নেহার মেসো প্রলয় মিশ্র বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে স্নেহা যে বসতে পারবে না সেটা আমরা জানতে পারিনি আগে। মা ছাড়া মেয়েটির আর কেউ নেই। মা কাজের সূত্রে অন্যত্র থাকে। ও ফোন করে মাকে বলেছিল, পাশ করে গিয়েছে পরীক্ষায়। তার পরই আজ এই খবর”। ছাত্রীর পরিবার জানাচ্ছে, বেশ অভাবের সংসার স্নেহাদের। ফাইনাল পরীক্ষার ফর্ম পূরণের জন্য টাকাও ছিল না। মা কষ্ট করে টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। তাই ফর্ম পূরণ করতে পারেনি। ওই টাকায় বিরিয়ানি খেয়ে বাড়িতে ফেরে সে।

মা কাজে চলে যাওয়ায় বাড়ি ফাঁকাই ছিল। মায়ের সঙ্গে এক বার ফোনে কথাও হয় তাঁর। কিন্তু তার পরেই গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয় স্নেহা। শনিবার কাজ সেরে মা বাড়িতে ঢোকার সময় দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। তড়িঘড়ি তাঁরা ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর