কর্মসূচি

ব্যুরো নিউজ, ১৫ ডিসেম্বর: রাজ্যের যক্ষ্মা কর্মসূচি শিকেয়, অপ্রতুল ‘কিট’ 

যক্ষ্মা নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় ‘কিট’ এর অভাবে শিকেয় উঠেছে যক্ষ্মা নির্ণয় ও দূরীকরণের কর্মসূচি। রাজ্যের এই বেহাল দশার জন্য পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। ২০২৫ সালের মধ্যে সারা দেশ থেকে যক্ষ্মা দুর করার কর্মসূচি নিয়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারও যাতে ওই সময়ের মধ্যে বঙ্গের ৭০ শতাংশ পঞ্চায়েত যক্ষ্মা মুক্ত হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কর্মসূচি নিয়েছিলো। কিন্তু জেলা হাসপাতাল থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজ সর্বত্রই এই কাজ ব্যাহত হচ্ছে প্রয়োজনীয় কিট- এর অভাবে। এই রোগ নির্ণয়ের সর্বাপেক্ষা ফলদায়ক পরীক্ষা হলো ‘কার্ট্রিজ বেসড নিউক্লিক অ্যাসিড অ্যামপ্লিফিকেশন টেস্ট’, সংক্ষেপে একেই বলা হয় ‘সিবি ন্যাট’। এছাড়াও রয়েছে একটি দেশিও পদ্ধতি। যাকে বলা হয় ‘ট্রু ন্যাট’। কিন্তু সবচেয়ে ভালো যক্ষ্মা নির্ণয়ের ফল পাওয়া যায় ‘সিবি ন্যাট’। একেই হু নাম দিয়েছে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ডায়াগনস্টিক টেস্ট। এতেই অনেকটাই নির্ভুল ডেটা পাওয়া যায়।

ভুল ইনজেকশন দেওয়ায় রোগীর মৃত্যু

রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা অভিযোগ করেছেন যক্ষ্মা নির্ণয়ের কিট পাঠাচ্ছেই না কেন্দ্রীয় সরকার, আবার রাজ্যকেও কিনতে দিচ্ছে না। ২০২২- ২৩ বর্ষে একটি সমীক্ষায় দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে প্রকৃত যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যার তুলনায় নথিভুক্ত যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কম। ফলে দেশব্যাপী যক্ষ্মা রোগ দুর করার কর্মসূচি ধাক্কা খাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটি সিবি ন্যাট যন্ত্রে ঘণ্টায় ৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। আর ট্রু ন্যাট যন্ত্রে তার অর্ধেক। সারা রাজ্য জুড়েই যক্ষ্মা রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না। রোগীদের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। চিকিৎসকেরা অসহায়। সামান্য প্রতিকারের জন্য কিছু ওষুধ ছাড়া স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে আর কিছু নেই। তাই দিল্লীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে রাজ্য। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর