ব্যুরো নিউজ, ১২ ডিসেম্বর: বস্তি থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য
রবিবার সকালে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল খিদিরপুরের কাছে কলকাতা বন্দরের
সিপিটি কলোনিতে। এ দিন দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ সিপিটি কলোনির বস্তির ঘর থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম আনজুয়ারা খাতুন মোল্লা আরা। তাঁর বয়স ৪৩ বছর। প্রাথমিক ভাবে ধারণা পুলিশের ধারনা, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী আনজুয়ারা পলাতক। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। খুন করেছে তাঁর স্বামী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে খিদিরপুর থানার পুলিশ এসে আনজুয়ারার দেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ ওই বস্তির একটি ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় মেলে আনজুয়ারার দেহ। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিল না। তবে মৃত্যুর আগে বিছানায় যে কোনও কারণেই হোক তিনি প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন। উদ্ধার হওয়া বালিশটিও সন্দেহ বাড়িয়েছে পুলিশের। তাদের ধারণা, মহিলাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
খিদিরপুর রেল স্টেশনের কাছে অবস্থিত কলকাতা বন্দরের সিপিটি কলোনি। সেখানে একটি ঝুপড়িতে থাকতেন আনজুয়ারা। বিভিন্ন বাড়িতে তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। এ দিন সকালে বহুক্ষণ আনজুয়ারার ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ওই মহিলার এক আত্মীয়াকে খবর দেন। তিনি এসে দেখেন, আনজুয়ারার ঘরের দরজা খোলা। বিছানায় শুয়ে আছেন তিনি। কিন্তু দেহে সাড় নেই।
মৃতার এক আত্মীয়া জাহানারা বলেন, “আমাদের আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বিয়ের পরে আনজুয়ারা ওই বস্তিতে একাই থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা ছিল না। এই নিয়ে আদালতে মামলাও চলেছে। আনজুয়ারা আমার বোনের মেয়ে। ওই মামলা সে জিতেছে। তারপর থেকে আনজুয়ারার কাছে মাঝেমধ্যে জামাই আসত। সেটা আমাদের পছন্দ ছিল না। গত শনিবারেও জামাই এসেছিল। এই ঘটনার পরের থেকে ওর ফোন বন্ধ। জানিনা, কীভাবে এত কিছু ঘটে গেল। শনিবার সকালে জলের গাড়ি বস্তিতে জল দিতে এলে প্রতিবেশীরা আনজুয়ারার দরজার কড়া নাড়েন। কিন্তু তাঁর কোন সাড়া তাঁরা পায়নি। আমি ওর ঘরে পৌঁছে দরজায় ধাক্কা দিয়ে বুঝি, দরজা খোলা রয়েছে। ওকে ঘুমোতে দেখে নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দেয়নি। তার পরে নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখি, নিঃশ্বাস পড়ছে না”। ইভিএম নিউজ