ইজরায়েলি

ব্যুরো নিউজ, ৮ ডিসেম্বর: ইজরায়েলি হানা: হামাসের কারণে ধ্বংসস্তুপ গাজা

টানা ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের যুদ্ধ। উভয়ের সশস্ত্র হানায় শিশু কিশোর-সহ প্রাণ হারিয়েছে প্রায় কয়েক সহস্র মানুষ। মূলত, প্যালেস্তাইনের পক্ষে হামাস বেশ কিছু ইজরায়েলিকে পনবন্দী করে ও কয়েকজনকে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হানা শুরু করে ইজরায়েল। মূলত, গাজার ভূখণ্ডে টানা বিমান হানা চালায় ইজরায়েল। শুরু করে কারপেট বোম্বিং। আর তাতেই গাজার ভূখণ্ডের প্রায় ৭০ শতাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

অভিযোগ ছিল, প্যালেস্তাইনের  জমি ক্রমশ দখল করে নেওয়ায় হামাস ইজরায়েলকে উচিৎ শিক্ষা দিতে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। সমগ্র গাজা ভূখণ্ডে তারা সুরঙ্গ তৈরি করে আক্রমণ করে। এরপরেই আক্রমনের ছক বদলায় ইজরায়েলি সেনা। তারা গাজা ভূখণ্ড ঘিরে ফেলে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক ও অস্ত্র -শস্ত্রে, সেই সঙ্গে চলে ড্রন হামলা। আর তাতেই মারা যায় বহু শিশু ও নারী -পুরুষ। হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ কোনও কিছুই। নরক কুণ্ডে পরিণত গাজা ভূখণ্ড ছেড়ে বহু প্যালেস্তেনিয় প্রাণ বাঁচাতে অন্য দেশের উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে গাজায় চলছে জল ও খ্যাদের অভাব।

খারিজ মহুয়ার সাংসদ পদ

ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে হামাসের সবকটি ডেরা জল ও স্থলপথে  হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হবে। মাটির নীচে থাকা হামাসের কোনও ঘাটি রেহাই পাবেনা। অস্ত্র ভাণ্ডারের খোঁজও পেয়েছে ইজরায়েল সেনা। ইতিমধ্যেই গাজার উত্তরে জাবালিয়া শিবির এবং দক্ষিণে খান ইউনিস ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই গাজায় চলছে প্যালেস্তেনিয়দের হত্যা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাবালিয়াতে হত্যা কড়া হয়েছে ১০০ জন প্যালেস্তেনিয়কে। জাবালিয়ায় গন করর দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই করর দেওয়ার লোকজন তেমন নেই। তবে বিভিন্ন জায়গায় পরে রয়েছে ছিন্নভিন্ন মৃত দেহ। হামাস পাল্টা দাবি জানিয়েছে, তারাও বহু  ইজরায়েলি সেনাকে নিকেশ করেছে। তবে ইজরায়েলের সাঁড়াশি আক্রমণের চাপে বেশ কিছু ইজরায়েলি পনবন্দিকে ছেড়ে দেয় হামাস।

এই যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেও এখনও সেভাবে সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি আন্তর্জাতিক সংগঠন ও দেশগুলি। ভারত যুদ্ধ বিরতির কথা বললেও তাতে কান দেয়নি  ইজরায়েল। প্যালেস্তাইনে বেশকিছু ত্রান সামগ্রীও পাঠিয়েছে ভারত। সিরিয়া, ইরাক-সহ বেশ কিছু মুসলিম অধ্যশিত দেশ প্যালেস্তাইনকে সমর্থন জানালেও ইজরায়েল তাকে গুরুত্ব দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাস্ত্র-সহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। এই হত্যা কাণ্ডের নিন্দা করেছে। তারাও শান্তি স্থাপনের কথা বলেছেন। তবে সামান্য কয়েক দিন যুদ্ধ স্থগিত রেখেছিল ইজরায়েল। কিন্তু তারপরে আবার শুরু হয়েছে নরসংঘাত। কার্যত গাজা ভূখণ্ডে হাসপাতালগুলিও অনেকাংশে নিশ্চিহ্ন। যে কয়েকটি আছে সেগুলিকে দেখলে যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া অন্য কিছু মনে হবে না। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর