ব্যুরো নিউজ, ২ ডিসেম্বর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা| সমস্যায় খুদে থেকে শুরু করে গর্ভবতী মায়েরাও
নামেই খুদেদের শিক্ষাঙ্গন। সূর্যদেব পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লেই এই শিক্ষাঙ্গনই বদলে যায় সুরাখানায় । নিয়মিত মদের আসর বসে এখানে। তার সাথে চলে গাঁজায় সুখ টানও। এমনই দুরবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। ছাদ নেই বললেই চলে সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। দরজা জানালা কবেই খুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিরা। ভেঙে ফেলা হয় রান্নার উনুনও।
স্কুল ঘরের মেঝেতেই পড়ে থাকে মাদকাসক্তদের ব্যবহৃত অবশিষ্ট জিনিসপত্র। অতিরিক্ত সুরা পানের পর আবার অনেকেই পড়ুয়াদের বসার জায়গায় বমিও করে রেখে যায়। এমনই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অবস্থাতেই চলছে স্কুল। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে বসাই যায় না। শীতকালেও ঠান্ডায় ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পানীয় জলেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।
উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য হস্তক্ষেপ করতে পারবে না: সুপ্রিম কোর্ট
এছাড়া দরজা জানালা না থাকায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যখন তখন ঢুকে পড়ছে কুকুর, গরু, ছাগল সহ অন্যান্য প্রাণীও। এই দুরবস্থার মধ্যেই বিগত কয়েকবছর ধরে চলছে এই স্কুল। বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
শুধু পড়ুয়ারাই নয়, সমস্যার মধ্যে রয়েছেন গর্ভবতী মায়েরাও। তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় এখান থেকেই। অব্যবস্থার কারণে পড়ুয়ারাও পড়তে আসতে চাইছে না। দিদিমনি আছেন, তবে তিনি নাকি নিয়মিত পড়াতে আসেন না। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কল্পনা নস্কর জানান, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। স্কুল ঘর ভাঙা। এই অবস্থায় কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে সঠিক পরিবেশে ফেরানো হোক। উন্নতি করা হোক এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামোর।
যদিও প্রত্যাশিত ভাবেই বিষয়টি সম্বন্ধে কিছুই জানেননা বলে জানান গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনতা হালদার। দায়সারা ভাবেই তিনি পুরোটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসনিক স্তর থেকে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নতি সাধনে। ইভিএম নিউজ