ব্যুরো নিউজ, ২৭ নভেম্বর: দিদিমাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে ‘খুন’
সোনারপুর থানার অন্তর্গত জগদ্দল এলাকার বাসিন্দা গঙ্গারানি দাস (৭৫) ও তাঁর নাতি মানসরঞ্জন দাস ওরফে বিট্টু (২৫) মাস খানেকের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন। উদ্ধার হয় দিদিমা ও তার বিশেষভাবে সক্ষম নাতির পচাগলা দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনায় ধৃত শান্তনু দাস ও প্রিয়াঙ্কা দাসকে রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। স্বামী ও স্ত্রী দুজনে মিলেই খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে তারা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, দুর্গাপুজোর সময় বিজয় দশমীর দুদিন পর এই ঘটনা। তারা রাতে দিদিমাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে ও ওই একই দিনে ভাই মানসরঞ্জন ওরফে বিট্টু দাসকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। পরেরদিন দুপুরবেলা দুজনে মিলে বাড়ির সেফটিক ট্রাঙ্কে ফেলে দেয় ভাইয়ের দেহটি। তারপর নতুন করে সিল করে দেওয়া হয় ওই সেফটিক ট্যাঙ্ক। পরিবারের বা বাইরের কেউ তাদের খোঁজ নিতে এলে স্বামী- স্ত্রী বিষয়টি চাপা দিতে বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলত বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে। এছারাও পুলিশের কাছে উঠে এসেছে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্পত্তির পাশাপাশি একাধিক কারণে এই খুন বলে জানা গিয়েছে।
যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে ধৃতকে গণধোলাই
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শান্তনু ও প্রিয়াঙ্কা কারোর বাড়ি থেকেই তাদের বিয়ে মেনে নেওয়া হয়নি। তাই তারা বাধ্য হয়েই শান্তনুর দিদিমার বাড়িতে থাকছিলেন। এই বাড়িতে থাকা নিয়ে মাঝে মধ্যেই দিদিমা গঙ্গারানী দাসের সাথে তাদের ঝামেলা লেগেই থাকতো। একাধিক বার এই বিষয়ে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গঙ্গারানী দেবী। সেই রাগও ছিল তাদের। সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কার স্বামী শান্তনু নেশাগ্রস্ত ছিল। সে কোনো কাজই করত না। দাদু পান্নালাল দাসের ফিক্সড করা টাকার সুদে তাদের সংসার চলত। এছাড়া দিদিমা গঙ্গারানীর কাছে বাচ্ছাকে রেখে কোথাও গেলে দিদিমা যত্ন করত না না বলে ধৃতরা জানায়। এইসব একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সুত্রে। ইভিএম নিউজ
