সুপ্রিম

ব্যুরো নিউজ, ২৩ নভেম্বর: প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি

চলে গেলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ফতিমা বিবি। ২৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার কেরলের কোল্লামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপত হিসাবে অবসরের পর, তাঁকে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়।

‘এদের প্ল্যান মহুয়াকে তাড়ানো’ মহুয়া ইস্যুতে মুখ খুললেন মমতা! 

সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে ফতিমা বিবি দেশের মহিলাদের কাছে ছিলেন একজন আইকন। অনেক মহিলাই তাঁকে দেখে আইনের জগতে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। কেরলের পান্ডালামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পথনমথিট্টার ক্যাথলিকেট হাই স্কুল থেকে স্কুলশিক্ষা শেষ করার পর ত্রিবান্দ্রম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর, তাঁকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে উত্সাহ দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। ১৯৫০-এ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি ছিলেন বার কাউন্সিলের প্রথম স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মহিলা।

এরপর, কেরলেই আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ফতিমা বিবি। ১৯৭৪ সালে জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে, আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর ৩ বছর পর কেরল হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে উন্নীত হন। আর ১৯৮৯ সালে তৈরি করেছিলেন ইতিহাস। নিয়োগ পেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

১৯৯২ সালে অবসর গ্রহণের পর, প্রথমে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তারপর, তাঁকে নিয়োগ করা হয় তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসেবে। তবে, এই পদে খুব বেশিদিন থাকেননি তিনি। রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় চার দন্ডিত বন্দি তাঁর কাছে করুণার আবেদন করেছিলেন। সাজা কম করার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ফতিমা বিবি। এরপরই তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।

সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। আজ তাঁর প্রয়াণে আইনজীবী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর