বিশ্ববিদ্যালয়ে

ব্যুরো নিউজ, ২৩ নভেম্বর: বিশ্ববিদ্যালয়ের লহরে দেহ উদ্ধার! সাসপেন্ড কর্তব্যরত ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের লহর থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার।  এই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

দু’মাস পর দুর্ধর্ষ চুরির কিনারা

নিরাপত্তার বিষয়ে এসএফআই এর পক্ষ থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা করা হয়। বর্ধমান থানার পুলিশও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পাশপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও গোটা ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা হয়। এরপরই নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১২ জন নিরাপত্তারক্ষীকে কর্তব্যে অবহেলার জন্য সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তঃবর্তীকালীন উপাচার্য গৌতম চন্দ্র বলেন, ‘একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেটি কবেকার তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন মহিলা লহরের দিকে দু তিন বার যাচ্ছেন, আবার চলে আসছেন। পরে একটা সময়ে তিনি ঢুকলেন আর বেরিয়ে আসেননি। লহরে উদ্ধার হওয়া মহিলাই সেই মহিলা কিনা এসব নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। পুলিশও তদন্ত করছে। মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে একজন মহিলা, তিনি যেমনই হোন না কেন, এভাবে ঢুকলেন, দীর্ঘসময় থাকলেন অথচ নিরাপত্তা কর্মীদের নজরে আসবে না! নিরাপত্তা কর্মীরা কোথায় ছিলেন?  কি করছিলেন? গাফিলতি তো রয়েছেই। এই কারনেই আমি এস্টেট অফিসারের মাধ্যমে রেজিস্টারকে নির্দেশ দিয়েছি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১২ জন কর্মীকে সাসপেন্ড করার জন্য।’

তবে, ডিএসপি রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘ এখনও পর্যন্ত মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তেমন কোন উল্লেখযোগ্য রহস্য তদন্তে উঠে আসেনি। ময়নাতদন্তের প্রাথিমক রিপোর্টে জলে ডুবে মৃত্যুর কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত মহিলার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিলো না। মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না বলেও প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে। তবে তদন্ত জারি রয়েছে। ময়নাতদন্তের সম্পূর্ন রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর