রাজ্যে

ব্যুরো নিউজ, ২০ নভেম্বর: রাজ্যে জাল নোটের পেছনে বাংলাদেশের জাল কারবারিরা? কী তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে?


ইতিমধ্যেই রাজ্যের বাজার গুলিতে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কারবারীরা। এইসব জাল নোট কোচবিহারের দিনহাটা এলাকার সীমানা দিয়ে ঢুকছে বলেই গোয়েন্দা তদন্তে উঠে এসেছে। ১৪ টি নতুন জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে এই জাল নোট কারবারিরা।

অতিমাত্রায় চিকিৎসা, অতিরিক্ত স্যালাইনে মৃত্যু হতে পারে ডেঙ্গু রোগীর! 

বেশ কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিশেষ গোয়েন্দারা বিভাগ কোচবিহার থেকে এক জাল নোট কারবারিকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। এরাজ্যের ছোট বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশের জাল নোট কারবারিদের একাংশ। সূত্রের খবর, এই জাল নোট কারবারিদের সঙ্গে বেশ কিছু ছোট জঙ্গি সংগঠনও ইতিমধ্যে হাত মিলিয়েছে।

কোচবিহার থেকে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই জালনোট কারবারিকে জেরা করে গোয়েন্দারা এই তথ্য পেয়েছেন যে, ১০০ টাকার নোট এক পাতা ও ২০০টাকার নোট তাদের কাছে দু’পাতা হিসেবে পরিচিত। এই নোট কোচবিহারের দিনহাটার দীঘলতারি এলাকা দিয়ে ঢুকছে বলেও জানা গিয়েছে।

এক আধিকারিক বলেন, “এলাকায় কাঁটাতার রয়েছে। এদেশের বেশ কয়েকটি গ্রাম কাঁটাতারের ওপারে রয়েছে। পাচারকারী দলের মাথারা সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশকে বাহক হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। মাদক পাচারকারীরাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এতদিন সীমান্ত পেরিয়ে দু’হাজার এবং ৫০০টাকার জাল নোট আসত। মুর্শিদাবাদ, মালদহে বহুবার প্রচুর জালনোট উদ্ধার হয়েছে। দু’হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পর জাল নোটের কারবারিরা বড় ধাক্কা খায়। এখন তারা ১০০ ও ২০০ টাকার নোট ছাপাতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারগুলিতে এই জালনোট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।”

গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ বা ২০০ টাকার নোট ছাপানোর খরচের তুলনায় লাভ খুবই কম। ১০০টাকার নোট ছাপাতে প্রায় ৬০-৬৫ টাকা খরচ হয়। তার উপর ক্যারিয়ারদের দিতে হয় ফলে কারবারিরা তেমন লাভ করতে পারে না। তা সত্ত্বেও তারা টাকা ছাপায়। কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতবর্ষের অর্থনীতির ক্ষতি করা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর