ব্যুরো নিউজ, ১৬ নভেম্বর: আদিবাসী ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি
দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘি বিধানসভার কুমড়া পাড়া এলাকায় বিদ্রোহী নায়ক বিরসা মুণ্ডার জন্ম দিন পালন করা হল। আদিবাসী উন্নয়ন সমতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় বিরসা মুণ্ডার জন্ম দিনের অনুষ্ঠান।
আদিবাসী উন্নয়ন সমিতির আয়জনে, কুমড়া পাড়া আদিবাসী মহিলা ও পুরুষের প্রভাত ফেরী আদিবাসী পতাকা ও জাতীয় পাতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ১৪৯ তম জন্ম দিন পালনের শুভ সুচনা করা হয়। এই জন্ম দিন পালনের অনুষ্ঠানে আদিবাসী ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
বালি পাচার রুখতে গিয়ে বিপত্তি!
দিকে দিকে যেভাবে আদিবাসীদের জায়গা- জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, আগামী দিনে তার কঠোর বিরোধিতা করা হবে বলেও শ্লোগান দেওয়া হয়।
মুণ্ডা সমাজের কাছে বিরসা মুণ্ডা আজও কিংবদন্তী। বিরসা মুণ্ডাকে নিয়ে কতো গান, কতো গল্প রচনা হয়েছে। উনিশ শতকে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম কৃষক বিদ্রোহ, যে বিদ্রোহ দেশীয় জমিদার, জোতদারদের সাথে ইংরেজ শাসকের কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল, সেই ‘মুণ্ডা বিদ্রোহ’-এর অন্যতম নেতা বিরসা মুণ্ডার আজ শহীদ দিবস।
১৮৯৯-১৯০০ সময়কালে তিনি রাঁচির দক্ষিণাঞ্চলে এই বিদ্রোহ পরিচালনা করেন বিরসা মুণ্ডা। ঐতিহাসিক এই বিদ্রোহকে ‘উপজাতীয় বিদ্রোহ’-এর শ্রেণীভুক্ত করেছিলেন। একটি নির্দিষ্ট উপজাতির মানুষের দ্বারাই এই বিদ্রোহ সংগঠিত ও সংঘটিত হয়। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হল এই ‘উলগুলান’ অর্থাৎ ‘প্রবল বিক্ষোভ’-এর লক্ষ্য ছিল জায়গীরদার ও ঠিকাদারদের হাতে ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জল-জঙ্গল-জমিকে রক্ষা করা।
সেই বিদ্রোহী নায়ক বিরসা মুণ্ডার জন্ম দিন পালনে ধামসা-মাদল বাজিয়ে আদিবাসী গান ও নৃত্য পরিবেষণ করে পাশাপাশি তিরধনুক নিয়ে খেলাও প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি তাদের দাবি, আদিবাসী ভাষা প্রত্যন্ত্য অঞ্চলে হারিয়ে যাচ্ছে। তা ফিরিয়ে আনতেই আদিবাসী ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ইভিএম নিউজ