ব্যুরো নিউজ, ১১ নভেম্বর: লাগাম ছাড়া সারের দাম| সার কিনতে নাজেহাল কৃষকেরা
লাগাম ছাড়া সারের দাম। তাই সার কিনতে নাজেহাল হতে হচ্ছে কৃষকদের। কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সার। আর এই কালোবাজারে সার বিক্রি হওয়ার ফলে সমস্যায় ভুগছেন কৃষকেরা। শীতের শুরুতে আলু চাষে প্রয়োজন, অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার। আর গত বছরের রেশ কাটতে না কাটতেই এ বছরও রাসায়নিক সার নিয়ে উঠছে কালোবাজারির অভিযোগ। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া কৃষকদের।
গণেশ জেলে যাবেন| ‘ভবিষ্যৎবাণী’ সুকান্তর
মালদা জেলার পুরাতন মালদা ব্লকে হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, আলু চাষে রাসায়নিক সার হিসেবে এন পি কে সারের চাহিদা বেশি যার ফলে সরকারের নির্ধারিত দামের থেকেও বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যেখানে সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে প্রিন্ট রেট অর্থাৎ সারের বস্তায় লেখা যে দাম রয়েছে সে দামেই বিক্রি করতে হবে রাসায়নিক সার। তবে একশ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ীরা কারোর যোগসাজশে এন পি কে সারের প্রিন্ট রেট ১,৪৭০ টাকা থেকে ৪০০- ৫০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। যার কারণে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ী। ফলে বাধ্য হয়ে চড়া দামে কেনা ছাড়া কোন রাস্তাই থাকছে না কৃষকদের কাছে। তবে এই কালোবাজারির পিছনে কৃষি দফতর জড়িত থাকার অভিযোগও উঠছে।
এদিকে রাসায়নিক সারের কালোবাজারির অভিযোগ তুলে, বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের খেটে খাওয়া কৃষকেরা একত্রিত হয়ে কালোবাজারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামলেন। এদিন তারা আদিনা হাটখোলা এলাকায় রাসায়নিক সারের কালোবাজারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন। তবে কৃষকদের আরও গুরুতর অভিযোগ রাসায়নিক দোকানে সার কিনতে গেলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ও তাদের পাকা রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।
যদিও সার ব্যবসায়ীর একাংশের দাবী, বাজারে যে সারের চাহিদা রয়েছে সেই সারের যোগান খুবই কম। আমরা নিজেরাও ডিলারদের কাছ থেকে সঠিক দামে সার পাচ্ছিনা। যার ফলে আমাদেরও সার বেশি দামে কিনে, বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের কাছে।
তবে রাসায়নিক সারের কালোবাজারি নিয়ে সরাসরি ব্লক কৃষি সহ-অধিকর্তা সৌমজিৎ মজুমদার জানান, যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কালোবাজারির সাথে যুক্ত তা প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত করা পদক্ষেপ নেওয়া হবে ও তাদের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। ইভিএম নিউজ