ব্যুরো নিউজ, ২ নভেম্বর: বালিশের ভিতর থেকে উদ্ধার নগদ ১৬,৫০০ টাকা
মৃতদেহ শ্মশানে গিয়ে পোড়াতে নজরে পড়লো ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। আর সেই আধপোড়া নোট নিয়ে হাবরা এসে পৌছালো ভাইপো পঞ্চানন। রাজ্য রাজনীতিতে টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তার সাথে সামনে উঠে এসেছে একাধিক ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। নিমাই সর্দার, বসিরহাট সিমান্ত ঘোজাডাঙা বর্ডার এলাকায় বাসিন্দা। তার তিন মেয়ে। কোন ছেলে নেই তার। তাই তার মুখাগ্নি করার মত কেউ ছিলোনা। তার ভাইপোই সব কাজ করছেন।
ভাইপো পঞ্চানন সর্দার জানান, গত রবিবার মৃত্যু হয় তার কাকা নিমাই সর্দারের। কাকার মৃত্যুর পর তার দেহ সৎকার করতে স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। কাকাকে চিতায় তুলে আগুন দিতেই মনে পরে, কাকার বালিশ, বিছানা আগুনে দিয়ে দেওয়ার কথা, সেইমত বালিশ আগুনে দিতে দেখা যায় একাধিক ৫০০ টাকার নোট দেখা যাচ্ছে। সাথে সাথে সেই বালিশ সহ নোট উদ্ধার করা হয়। দেখা যায় বালিশের মধ্যে নিমাই সর্দারের একটি ব্যাগ ছিলো সেই ব্যাগে ছিলো ১৬ হাজার টাকা। সেই টাকা ছিল তার কাকার জমানো টাকা। তার কাকা ছিল পেশায় ভ্যানচালক। ভ্যান চালিয়েই ১৬ হাজার টাকা জমিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই কথা কেউ জানতো না।
কাকা চলে যাওয়ার পর এই গোপন টাকার হদিস পাওয়া গেলো। সেই আধপোড়া টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে ঘুরলেও টাকা পরিবর্তন করা যায়নি। তারপর খোঁজ মেলে, পঞ্চাননের দিদির বাড়ির সামনে একজন থাকে যে এই টাকা পরিবর্তনের ব্যবসা করে, সেইমত পঞ্চানন চলে আসে হাবরায়। তারপর জামাইবাবুকে নিয়ে হন্যে হয়ে খোঁজ করে টাকা পরিবর্তন করা ব্যক্তি খোকন ঘোষের।
অবশেষে হাবরা হাটথুবা এলাকায় খোঁজ মেলে খোকনের। খোকন সেই ১৬ হাজার টাকা পরিবর্তন করে ৭ হাজার ১৫০ টাকা দিতে পারবেন বলে জানান।কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এই টাকার ভ্যালু ৭ হাজার ৫০০। অর্থাৎ ৩৫০ টাকা লাভ খোকনের। সেই টাকা নিয়েও খুশি ভাইপো পঞ্চানন। কাকার জমানো টাকা এখন কাকার কাজেই লাগবে বলে জানান পঞ্চানন। ইভিএম নিউজ