তৃণমূল

ব্যুরো নিউজ, ৩০ সেপ্টেম্বর: তৃণমূল নেতা স্বপন মিশ্রকে ‘মারধর-হুমকি’ | প্রকাশ্যে ভিডিও 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চেয়ারম্যানের কলার ধরে ‘প্রতারিত’ চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্রর বিরুদ্ধে।

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্রর কাছে টাকা ফেরতের দাবি ‘প্রতারিত’ চাকরিপ্রার্থীর। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইভিএম নিউজ

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ!

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লক্ষ-লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, স্বপন মিশ্রকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকিও। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র বসে রয়েছেন। তাঁর কলার ধরে প্রশ্ন করছেন ‘প্রতারিত’ চাকরি প্রার্থী। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তিকে ‘তুই-তুকারি’ করতেও শোনা গেল। একটাই প্রশ্ন, ‘বল কবে টাকা ফেরত দিবি?’ আর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল।

অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। লক্ষ-লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, স্বপন মিশ্রকে মারধর করার পাশাপাশি দেওয়া হল হুমকিও দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে স্বপনবাবুর কলার ধরে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করছেন, “টাকা কবে দিবি?” উত্তরে প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেছেন, “টাইম দিতে হবে।” পাল্টা প্রশ্ন, “কতদিন সময় লাগবে?” সেই প্রশ্নের যদিও উত্তর নেই। শুধু এক কথাই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আওড়ে চলেছেন, “টাইম দিলে হয়ে যাবে।”

২০১৪ সালে স্বপন মিশ্র প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল। একজন বা দু’জন নয়, তাঁর বিরুদ্ধে এইরকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার কেউ কেউ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে খবর। অভিযোগ, অনেক চাকরি প্রাপকই নিজেদের জমি-বাড়ি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে চাকরি পেতে চেয়েছিলেন। এদিকে, টাকা নেওয়ার পর অভিযুক্ত উধাও হয়ে যান।

প্রসঙ্গত, স্বপন মিশ্র শুধু প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন তা নয়, মালদহ জেলা পরিষদের তিনি তৃণমূল সদস্যও ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল তরফে প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “এ রাজ্যে আইনের শাসন রয়েছে। কেউ আইনের উর্ধে নয়। কেউ যদি সত্যি অভিযুক্ত থাকেন আইন দেখবে। আইন কেউ নিজে হাতে তুলে নিতে পারেন না। যারা এই অভিযোগ তুলছেন তাদের প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া উচিৎ”। এই বিষয়ে সিপিআইএম এর তরফে বলা হয়, “তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি জর্জরিত কেউ বাদ নেই এরা প্রতিটা বেকার ছেলেদের জীবন নিয়ে খেলা করছে একের পর এক দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে”। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর