ডঃ জয়ন্ত তপাদার, ৫ সেপ্টেম্বর: সঠিকভাবে সন্তানকে পথ দেখাচ্ছেন তো?

সন্তানকে সঠিকভাবে পথ দেখানোটাই অভিভাবকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পর সে বাংলা বা ইংরেজি যে মাধ্যমেরই ছাত্র-ছাত্রী হোক না কেনও তাকে সাধারণত সাইন্স, আর্টস বা কমার্স পড়ার জন্য ভর্তি হতে হয়। বর্তমান যুগে বিদ্যাশিক্ষা পেশা ও অর্থ উপার্জন এইসব বিষয়গুলো একটার সঙ্গে আরেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষিত গ্রাজুয়েট ছেলে রাস্তায় অটো চালাচ্ছে বা এগ রোল চাউমিন বিক্রি করছে বা উচ্ছ্বশিক্ষিতা কোনও মেয়েকে সামান্য মাইনেতে কোনও দোকানে চাকরি করতে হচ্ছে। এ আমরা চারিদিকে আকছার দেখতে পাই। এই যুগের শিক্ষা গ্রহণ করাটা শুধু যে সময় ইনভেস্টমেন্ট তা কিন্তু নয় সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়োগ করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে।

সন্তানের পড়াশোনায় অমনোযোগের আসল কারণ কি?


যেকোনও মানুষের হরোস্কোপ বা জন্ম ছকে মোট ১২টি ভাব বা ঘর আছে। লগ্ন ভাব হল জাতক নিজে। লগ্নকে প্রথম ভাব (ঘর) ধরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে প্রতিটি ভাবকে আলাদা আলাদা ভাবে গণনা করা হয়। বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে চতুর্থ ভাব নির্দেশ করে স্নাকত্তর পর্যন্ত শিক্ষালাভ। তৃতীয় ভাবে নির্দেশ করে জাতকের শিক্ষায় আগ্রহ। নবম ভাব নির্দেশ করে উচ্চ শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পড়াশোনা। পঞ্চম ভাব নির্দেশ করে বুদ্ধিমত্তা ও মেধা।

বিদ্যা শিক্ষার বিচারে কৃষ্ণমূর্তি পদ্ধতির সূত্রাবলী:

চতুর্থ ও একাদশ ভাব যদি যুক্ত হয় তবে কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। (দশম ভাব হল কর্মভাব ও জীবিকা, একাদশ ভাব হল সাফল্য)।

চতুর্থ+নবম+একাদশ বিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষা।

তৃতীয়+অষ্টম+একাদশ শিক্ষায় বাধা নির্দেশ করে।

চতুর্থ+নবম+দ্বাদশ বিদ্যা শিক্ষা জন্মস্থান থেকে দূরে হোস্টেল ইত্যাদিতে নির্দেশ করে।

চতুর্থ+নবম+দশম ভাবের সঙ্গে মঙ্গল, বুধ, শনি সম্পর্ক যুক্ত হলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

পঞ্চম+অষ্টম+নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে শুক্র ও রবি বা শুক্র ও মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে রসায়ন নিয়ে শিক্ষা নির্দেশ করে।

তৃতীয়+নবম+ভাবের নির্দেশক হয়ে বৃহস্পতি, বুধ, মঙ্গল গ্রহ পরস্পর কোনও না কোনওভাবে সম্পর্কযুক্ত হলে ম্যানেজমেন্ট।

তৃতীয়+নবম+ভাবের নির্দেশক হয়ে বৃহস্পতি, বুধ, চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে সাংবাদিকতা।

তৃতীয়+চতুর্থ+নবম ভাব যুক্ত হয়ে বুধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে অঙ্ক শাস্ত্রে শিক্ষা নির্দেশ করে।

চতুর্থ+নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে রবি-বুধ-শুক্র সম্পর্কযুক্ত হলে পদার্থবিদ্যা।

পঞ্চম+অষ্টম+নবম অথবা পঞ্চম+ষষ্ঠ+দ্বাদশ ভাবের নির্দেশক হয়ে রবি ও শুক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে জীবন বিজ্ঞান নিয়ে শিক্ষা নির্দেশ করে।

চতুর্থ+নবম+দশম ভাবের নির্দেশক হয়ে মঙ্গল, বুধ ও শুক্র সম্পর্কযুক্ত হলে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।

চতুর্থ+ষষ্ঠ+নবম+দশম+দ্বাদশ ভাবের নির্দেশক হয়ে রবি বুধ ,শুক্র, বৃহস্পতির সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হলে জেনারেল ফিজিশিয়ান।

চতুর্থ+ষষ্ঠ+অষ্টম+দশম+দ্বাদশ ভাবের নির্দেশক হয়ে রবি ও মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হলে সার্জেন হওয়া নির্দেশ করে।

চতুর্থ+ষষ্ঠ+নবম+দশম+দ্বাদশ ভাবের নির্দেশক হয়ে রবি, শুক্র ,বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কযুক্ত হলে গাইনোকোলজিস্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।

তৃতীয়+চতুর্থ+নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে বৃহস্পতি, বুধ, মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে আইন বা ‘ল’।

পঞ্চম+নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে মনোবিজ্ঞান বা সাইকোলজি।

চতুর্থ+দশম+দ্বিতীয় ভাবের সঙ্গে শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের সম্পর্ক থাকলে কৃষিবিজ্ঞান।

চতুর্থ+অষ্টম ভাবের নির্দেশক হয়ে শনি ও মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে ভূগোল।

তৃতীয়+চতুর্থ+পঞ্চম ভাবের নির্দেশক হয়ে শুক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে ফ্যাশন ডিজাইনিং বা বিউটিশিয়ান। এইরকম বহু সংযোগ আছে যাতে আরও বহু ভিন্ন ভিন্ন পেশার দিক নির্দেশ করা সম্ভব।

ডঃ জয়ন্ত তপাদার (জ্যোতিষ রত্ন উপাধি) যোগাযোগ- ৮২৫০৬২৭২০৩/ ৯৪৭৪৭৩২৯০১। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর