ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৯ মেঃ (Latest News) করিমের মান ভাঙাতে মরিয়া অভিষেক
গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মুখ্য দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় আয়োজন করা হয়েছিল।
৩০ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুরের এসেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলা হয়েছিল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে। এদিকে তিনি নিজের বাড়ির সামনেই দিনভর অপেক্ষা করছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। কিন্তু অপেক্ষাই সার, এলেন না অভিষেক। আশাহত ইসলামপুর তৃণমূলের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। সংবাদ মাধ্যমে সেই দিন তিনি তাঁর অভিমান উগড়ে দিয়েছিলেন।
এই খবর ছড়ানো মাত্রই, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ নির্দেশ দেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়ালকে। আব্দুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় কানাইয়াকে।
আব্দুল করিমের মানভঞ্জনের উদ্দেশ্যে, অভিষেকের নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার রাতে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়াল।
সাক্ষাতের পর এই দুই নেতাই আলাদা আলাদা ভাবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়াল সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে বলে জানালেও তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী নিজের দাবিতেই অনড় থাকলেন।
করিম চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি কানাইয়াকে বলেছেন ছয় মাসের জন্য বর্তমান ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনকে দল থেকে সাসপেন্ড করতে হবে। ফের জাকির হুসেনকে সন্ত্রাসবাদী বলে তোপ দেগেছেন তিনি। কানাইয়াকে জানিয়েছেন, দলের লোক অপরাধ করলে শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া তিনি বিধায়ক সংগঠনটা তাঁর উপরে ছেড়ে দিতে বলেন।
সবমিলিয়ে অভিষেকের নির্দেশে মান ভাঙাতে কানাইয়া-করিম সাক্ষাৎ ঘটলেও অভিমানের পারদ আদৌ কি গললো। শাসকদল তৃণমূল শিবিরে এখন এটাই বড় প্রশ্ন।